হয়তো তুমি জানো না!
-অমল দাস
হয়তো জানো না! তুমি আমার তৃষ্ণার একঘড়া জল,
প্রচণ্ড রোদ্দুরে ম্যাস্টিক পথে বিস্তীর্ণ শিরীষ-ছায়াতল।
তুমি জানো না যে তা নয়! আমার জাহাজের মাস্তুল
তুমি,-কবিতার খাতা। কলম, তোমার আদুরে আঙুল।
জানো না!তুমি সন্ধ্যার জোনাকি আমার, চাঁদের আলো
শৈত্যে কুয়াশা উঠোনে তুমিই-তো প্রত্যহ আগুন জ্বালো।
বাগানের জ্যৈষ্ঠী-আম তুমি, চির বসন্তে শিমূলের ফুল,
ছলছল উত্তল নদী জলে তুমি, অচ্যুত আশ্রয়ের দু-কূল।
তোমার রক্তিম সুডৌল কায়া আমার প্রিয় প্রাণের শহর,
হাওয়ায় দোদ্যুলদোলে কুন্তল মেঘ, বৈশাখীর সান্ধ্য প্রহর।
তুমি তো আমার রাত্রি নিঝুম, হৃৎপিণ্ডে রক্তের চলাচল,
আমার নির্জনতার আত্মীয়া তুমি সরোবরের শুভ্র শতদল।
তুমি, অরণ্য দিনে অজ্ঞাতবাসে আমার তপস্যার কুঠিঘর,
তুমি জানো না আজও তুমিই আরাধ্য, তুমিই আমার স্বর।
আকাশ রঙে এঁকেছি তোমায় দেখেছি একটিই নীল তারা
আমার সেই তারাতে তুমিই তুমি, আমি নীলেই সর্বহারা।
কতটা যে বাসি ভালো, জানো না! জানতে চাওনি কখনো,
আমি পারবো না বলতে, বলবো না! তুমি বোঝনি এখনো!