ডিয়ার কমরেড
-কাজল দাস
যুদ্ধের সামনে দাঁড়িয়ে আমি তোমাকে ভালোবাসি,
যুদ্ধের সামনে দাঁড়িয়ে আমি তোমাকে ভালোবাসি।
ধীরে ধীরে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছি,
পেছনে সরে যাচ্ছে অবিলুপ্ত ভবিষ্যত।
শেষবারের মতো আঁকড়ে ধরছি-
বিশ্ব বিপ্লবের খড়কুটো।
বিপর্যস্ত মানুষের চোখে আমার শরীর,
একটা বিপ্লবী স্তম্ভের মত নির্ভুল উচ্চারণ-
অথচ আমার কোনো নাম নেই,
-কোনো পরিচয় নেই।
অতঃপর আমি এক অনন্ত জনতার ভিড়।
আমি এক অনন্ত সম্ভবনার আঁচড়, স্বতন্ত্র স্লোগানে-
আমি কমরেড।
অযথা অন্য নামে আমাকে খোঁজো-
অন্য মানে খোঁজো সংগ্রামী চেতনার।
সমস্ত পৃথিবী জুড়েই আমার অবদমিত চিৎকার,
সমস্ত পৃথিবী জুড়ে আমিই, রক্তাক্ত বিপ্লব।
স্টেনগানের শব্দে অপ্রতিরোধ্য নিঃশ্বাসে,
বলিভিয়ায় জঙ্গলী বারুদের ঘ্রাণে আমার-
অঙ্কুরিত প্রসব,
বক্ষে নেশাতুর রক্তোচ্ছ্বাস।
আমি কমরেড।
আমি যে আসন্ন শৈশবের গান,
চির বসন্তে নবীনের উদ্দাম।
উদ্ভ্রান্ত মিছিলের বহ্নিময় বলিষ্ঠ সংগ্রাম,
কাস্তের বুকে আমি রক্তস্নাত ধান,
আমি মানুষ, খেটে খাওয়া মজুরের ঘাম,
আমার মৃত্যুতে আসন্ন চেতনা সংগ্রাম,
আমি কমরেড।
প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমি কমরেড,
প্রতিটি রক্ত কণায় আমি কমরেড,
ছুটে আসা একে একে নয়টি গুলির সামনে দাঁড়িয়ে-
আমি চিৎকার করে বলতে চাই-
আমি কমরেড।
প্রতিটি বিপ্লবে আমার রক্ত,
প্রতিটি প্রতিবাদে
সংগ্রামে
চেতনায়
স্লোগানে আমি কমরেড।
আগুনের স্ফুলিঙ্গের মত আমি জ্বলন্ত জনরব-
আমাকে হত্যা করা অসম্ভব।
আমি কমরেড।