অস্তিত্ব
– শিলাবৃষ্টি
আমার মনের এক কোণে সে আছে
কবে থেকে মনে নেই একটুও,
আরও কতদিন থাকবে সে,
তাও জানিনা!
তবু বুঝতে পারি সে আছে –
কামনা করি সে থাকবে,
আমার জীবনের শেষ দিন …
তখনও সে থাকবে।
খুব ছোট্ট সে, কিন্তু খুব সুন্দর।
জানা নেই তার নাম ধাম;
নাম একটা আমিই দিয়েছি – “সুন্দর”।
‘সুন্দর’ কখনো কারো ক্ষতি করে না –
যা কিছু খারাপ, তা অসুন্দর-ই করে।
তাই সে শুধুই সুন্দর।
শত ব্যস্ততার মাঝে বুঝতে পারিনা
তার উপস্থিতি।
দিনের শেষে, যখন ধরা ঘুমের দেশে
যখন আমি খোলা ছাদে চাঁদ ও তারার গল্প শুনি,
তখনই বুঝি টের পাই তার – ‘অস্তিত্ব’।
চুপি চুপি টোকা দেয় সে আমার মনের সেই ছোট্ট জানালাতে।
মনের দরজা খুলে দিই শুধু তার জন্য
শুধু তারই জন্য;
আর তখনই পাই, তার অস্তিত্বের সাড়া।
মনের দরজা খুলি আমি,
স্মৃতির জানলা খোলে সে –
জীবনের সব সুখ এনে দেয়,
তাই থাকনা সে
মনের এক কোণে।