এখনো হেঁটে যাই
-সত্য দেব পতি
ঐ যে দুর আকাশে জ্বলজ্বল করছে নক্ষত্ররাজি,
পৃথিবীর থেকে শত আলোকবর্ষ দূরে-
ওখানে আমার ভালো বাসার আতুর ঘর;
যেখানে হাজারো সুর্য অহর্নিশী সদাজাগ্রত।
আমি এই মাটির পৃথিবীতে একলা দার্শনিক,
আমার ভালোবাসার বাগানে তোমার রোপিত গোলাপ,
অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সেখানে আমিই বনমালী-
বিশ্বাসের মলয় বাতাসে রোজ সেখানে তোমার গন্ধ ছড়ায় মনের আঙিনায়,
একটা কালো ভ্রমর রোজনামচা করে ঐ ফুলে বসতে চায়-
আমি আধঘুম চোখে দেখি তোমাদের মিলন মহোৎসব;
বিভ্রান্তির দুপুরে যখন সুর্য মাথার ওপর করে জৈষ্ঠ্য তাপ বিকিরণ আমি ছায়া হয়ে দাঁড়াই,
তোমার শীতল মুখের একটু হাসি দেখে আমি প্রশান্তির হাসিতে ঝরে পড়ি অনায়াসে।
আবার কোনো বর্ষালী বিকেলে যখন মুষলে বৃষ্টি পড়ে,
তোমার সবুজ কান্ড থেকে চুঁয়ে পড়ে জল আমার রুক্ষ মাটিতে…
তখনকার সিক্ততা আমাকে আপ্লুত করে-
আমি বুঝতে পারি ঐ জলে মিশে থাকা ভালোবাসার স্নিগ্ধতা।
যখন শারতিক মেঘের ভেলায় চড়ে প্রেম খেলা করে আকাশে-
তখনো আমি তোমার কথা ভাবি আমার ভাঙা ঘরে বসে,
আসে বিকেল গড়িয়ে এলোকেশী সন্ধ্যার কোলে রাত্রি নিবীড়;
মনের দর্পণে ফুটেওঠে অতীতের স্বপ্নময় প্রতিচ্ছবি-
আপেক্ষিক দুরত্ব বেড়ে হয় যোজন…
একরাশ চাওয়া আর এক আকাশ স্বপ্নের ডালি হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি ভালোবাসার দরবারে,
সেই আদিকাল হোতেই হাঁটছি সারাটা পৃথিবী তোলপাড় করে এখনো আমার পথচলা শেষ হোলো না ।