ছাই
– উজ্জ্বল সামন্ত
সিগারেটের ধোঁয়ায় গাঢ় আগুনটা তীব্র দহনে
আনমনা সুখ টানে পুড়তে পুড়তে ছাই জমেছে
ঠোঁটের সঙ্গে সম্পর্ক বহুদিনের আনন্দে দুঃখে
নিজেও পুড়েছে ওড়াচ্ছে ধোঁয়া দহন ফুসফুসে
তিন ইঞ্চির মোড়কে সঙ্গী ক্যান্সারের আহ্বানে
ছাই হয়ে উড়েছে জীবনের অনুভূতি অতৃপ্ত আবেগে
ভালোবাসা যেন তীব্র দহনে ছাই হয়ে ঝরে পড়ছে
অনুভূতি নিমেষেই মিশছে ওই মায়াবী নীলাম্বরী চোখে
ছাই কি কখনো প্রিয় হতে পারে তোমার শরীরে
অত্যাচারীর জ্বলন্ত সিগারেট যখন দেহ স্পর্শ করে
অবলা অসহায় অত্যাচার কখনো সহ্য করে মুখ বুজে
বিষাক্ত স্মৃতির পাতায় চিহ্ন রেখে যায় ওই কালো দাগে
আগুনের লেলিহান শিখায় ক্ষমা নেইকারো কখনো
সব আগুন কি নেভানো যায় অজান্তে চলে দহন
সুন্দর শরীর দু’ মুঠো ছাই শ্মশানের চিতায় ভস্মীভূত
ছাই উড়িয়ে অমূল্য রতন কি পাওয়া যায় জাগে মনে প্রশ্ন !