প্রকৃত বন্ধু
– সঞ্জিত মণ্ডল
আশ্বাসবাণী যত যারই শুনি নেই আজ কোনো ভয়-
সাম্রাজ্যবাদী শক্তি রয়েছে তারাই ভয় দেখায়!
সকলে জেনেছে বিশ্বের ত্রাস কারা ঘোরা ফেরা করে-
সমাজ বাদের মুখোশে লুকিয়ে কারা অন্যায় করে।
লাদাখ,তাওয়াং, ডোকালাম আর সিয়াচেন জুড়ে,
গোপনে গোপনে দখলদারিতে সেনা সমাবেশ করে।
জোর করে ঢুকে মারামারি করে যুদ্ধ বাধাতে চায়,
সীমা লঙ্ঘিত, জোর জুলুমেও তারা কম কিছু নয়।
হুমকি তাদের জীবাণু অস্ত্র, লোকবল আছে ভারী,
ঘুষ দিয়ে করে দুর্নীতি আর রোগও ছড়ায় মারী।
সূঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে যায় গরীবের দেশ ঘরে,
মুখে ভাব করে কলা তো খাইনি তবু সন্দেহ করে।
চোখ দেখি তার যত ক্ষুদে হোক লোভে চকচক করে,
ভালো মুখ করে ঢুকে যায় ঘরে পরে লুটপাট করে।
সাহায্য নিয়ে দাঁড়ায় পাশেতে সুদ চেয়ে নেয় পরে,
সুদে ও আসলে নাভিশ্বাস ওঠে যখন বুঝতে পারে।
ততোদিনে বড়ো দেরি হয়ে যায় সাঁড়াশীর চাপ বাড়ে,
মুখেতে দোস্তি মিঠে বুলি কতো পিঠেতে ছুরিটা মারে।
যত পারে যেথা জমিটা হাতায় ঠিক পুরো জমিদার,
মঙ্গোলিয়া ও তিব্বত জানে হংকং এ হাহাকার।
এতো বড়ো দেশ যেন মহাদেশ তবু চাই চাই রব,
হংকং চাই, সিঙ্গাপুর চাই, শুধু চেয়ে থাকে সব।
সিংহল পাক বুঝেছে বিপাক দরদী ভাইয়ের খেলা,
রাজকোষ যত সব লুটে নেয় এমনই বন্ধু ঠেলা।
কিছু লোক আছে আমারই স্বদেশে মাই বাপ মানে তাকে,
চোখ কান বুজে এক সুরে গায় তারা যা বোঝায় বোঝে।
এমন ভালো তো আজও দেখিনিকো চৌষট্টির পরে,
কতো কিছু ওরা দখল করেছে তবু পা চেটেই মরে।
আমাদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে বন্ধুরা দিকে দিকে,
আমি শুধু বলি পুরানো প্রবাদ বুঝে শুনে পা টা দিতে।
“উৎসবে ব্যসনে চৈব দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপ্লবে,
রাজদ্বারে শ্মশানে চ য তিষ্ঠতি স বান্ধবঃ।।