কবিতা- কুমির ডাঙা

কুমির ডাঙা
– সুমিতা পয়ড়্যা

 

 

এ কোন সময়ে আমরা রয়েছি!
এক আকাশ নিষ্ঠুরতা
ক্ষতবিক্ষত করে হৃদয়-মন,
ঘুম আসে না;  ঘুমোলে এক ভয়ঙ্কর আতঙ্কে জেগে উঠি,
এই বুঝি ভূমিকম্প হবে, এই বুঝি সব ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে যাবে!
জেগে জেগে যে স্বপ্নগুলো দেখতে দেখতে সময় পার হয়, দিন যায়, রাত যায়
আবার একটা নতুন সকাল আসে;
ঠিক তেমনি দিনে জেগে স্বপ্ন দেখা আর রাতে না ঘুমিয়ে জেগে থাকা!
একে কি বলে! জানা নেই।
চোখ দুটো ক্লান্ত অবসন্ন;
বিরাট নীল আকাশের কোণে কোণে কালো মেঘ মেঘমল্লার সুরে গান ধরেছে
আর আমাদের আতঙ্কের আবরণে মন খারাপের বেলায় শুধুই দুঃখের প্লাবন,
ভিতরে ভিতরে হতাশার মোড়কে ব্যথা- বেদনা- যন্ত্রণার আচ্ছন্নতা,
সান্ত্বনা বাক্য সব মিথ্যা; অসমাপ্ত গল্পের ছবি,
সহনশীল অপেক্ষাগুলো অবসাদ আর নিঃসঙ্গতায় দোদুল্যমান,
হয় খুব জোরে আতঙ্কে দুলবে নয়তো ছিঁড়ে পড়বে ভালোবাসার দেহটা।
হামাগুড়ি দিয়ে মৃত্যুর প্রবেশ করছে জীবনের ফাঁক ফোকরে।
দুর্গম পাহাড়ের ঢাল বেয়ে
আমরা গড়িয়ে যাচ্ছি এক অতল গভীর খাদে
নীরবে নিঃশব্দে বেঁচে থাকা অর্থহীন অনুভূতিতে আমরা প্রগলভ।
ছোটবেলার খেলা —‘কুমির তোমার জলকে নেমেছি’
“কুমির ডাঙা”খেলার মতই সকলেই ডাঙা খুঁজছি হতাশার অন্ধকারে।

Loading

Leave A Comment