বেড নাম্বার 42
-বিশ্বদীপ মুখার্জী
(1)
টাকাটা নিজের প্যান্টের পকেটে রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল রাজু। টাকা গুণে নিয়েছিল সে, দু’ হাজার। ঘর থেকে বেরোবার আগে দরজার মুখের কাছে দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো মধুলিকা নিজের শরীর এলিয়ে দিয়েছিল নরম বিছানার উপর। লাল রঙের নাইট বাল্বের অল্প আলোতে তাকে আবছা দেখা যাচ্ছিল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাঁটা শুরু করলো রাজু। ভোর রাতে। খানিক পরেই অটো আর বাস চলতে শুরু করবে। এখনও ঠিক মত আলো ফোটেনি। কৃষ্ণর কাছে মেয়েকে রেখে এসেছে সে। কৃষ্ণ রাজুর বন্ধু। কৃষ্ণ এবং তার স্ত্রী রাজুর মেয়েকে রোজ রাতে নিজের কাছেই রাখে। কৃষ্ণ জানে না রোজ রাতে রাজু যায় কোথায়? বেশ কিছু দিন ধরে রাজুর সাথে আফতাবের মেলামেশাটা বেড়েছে, সেটা খেয়াল করেছিল কৃষ্ণ। বিশেষ করে রুপালির চলে যাওয়ার পর থেকেই। আফতাবের সাথে বসে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া, মদ খাওয়া..রাজুর নিত্য কার্যকলাপ হয়ে উঠেছিল এগুলো। কৃষ্ণ বেশ কিছুবার রাজুকে বলেছে।
‘তোর আফতাবের সাথে মেলামেশাটা মোটেই ভালো লাগছে না আমার। এ পাড়ায় প্রায় সবাই জানে আফতাব ভালো ছেলে নয়। বিরাট বড়ো সুযোগসন্ধানী সে।’
‘না রে কৃষ্ণ। তুই ভুল বুঝছিস তাকে। আফতাব ভালো ছেলে। দেখিস না, রোজ রাতে আমাকে মদ খাওয়ায়। আজকের দিনে কে কাকে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে রোজ রোজ মদ খাওয়ায় বলতো? তুইও খাওয়াস না। এক দিন খাইয়ে পরের দিন বলিস টাকা নেই।’
মদ্যপানে আসক্ত রাজুর সাথে বেশি তর্ক করা ঠিক মনে করলো না কৃষ্ণ।
রাজুর পকেটে এখন দু’হাজার টাকা। বেশ অনেক টাকাই এই ক’দিনে সংগ্রহ করে নিয়েছে রাজু। তার এখন টাকার দরকার। কিন্তু সে কোন পথে টাকা রোজগার করছে? মাঝে মাঝেই তার মনে পড়ে রুপালির কথা। পাড়ার শেষে যে পুকুরটা আছে, সেখানেই পেয়েছিল রুপালির মৃত দেহ। তখন কতই বা বয়স হবে রাজুর মেয়ে রুমির? খুব জোর দু’ বছর। প্রায় একবছর হয়ে গেল ঘটনাটা ঘটে যাওয়ার। কী দিন ছিল সেইগুলো। মনে পড়লে এখনও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে রাজুর।
(2)
এক লোহার দোকানে কাজ করা রাজুর হঠাৎ করেই চাকরি চলে যায় দোকানের মালিক গত হওয়ার পর। অর্থ রোজগারের অন্য পথ খুঁজতে ব্যস্ত হলো সে। বেশ কয়েকটি দোকানে কাজ করলেও সেই কাজগুলোকে স্থায়ী করতে পারলো না রাজু। ফলে টাকা-পয়সার টানাটানি শুরু হলো সংসারে। অন্যের ঘরে কাজ করে দু’ পয়সা রোজগার করতে শুরু করলো রুপালি। ছোট্ট রুমিকে কাজের জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই কৃষ্ণদের বাড়িতেই রুমিকে রেখে যেত সে। হাজার হোক মায়ের মন..ছটফট তো করবেই।
প্রায় দু’ তিনটে বাড়িতে রান্নার কাজ ধরলো রুপালি। কিছু দিনের মধ্যেই সংসারে আর্থিক সমস্যাটা অল্প হলেও দূর হলো।
পুরনো কথাগুলো এখনও মনে পড়ে রাজুর। কৃষ্ণ চিরকাল তার পাশে দাঁড়িয়েছে। যদি কৃষ্ণর কথা সে সময়ে রাজু শুনতো তাহলে তাকে হয়তো অর্থ রোজগারের জন্য এ পথে এগোতে হতো না। মধুলিকার বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফেরার পথে এ সব কথাই চিন্তা করছিল সে। এই কিছু দিনে বেশ ভালোই টাকা রোজগার করে নিয়েছে রাজু। সব মিলিয়ে প্রায় চল্লিশ হাজারের উপর তো হবেই। তার টাকার প্রয়োজন। নিজের জন্য না, নিজের মেয়ের জন্য। ঠিক এই কথাটাই রুপালি একদিন বলেছিল রাজুকে। রাজুর কানে এখনও মাঝে মাঝে রুপালির সেই কথাটা ভেসে ওঠে।
‘টাকার দরকার সব সংসারেই হয় রাজু। আমাদের সংসারেও টাকার প্রয়োজন। আমরা এখন দু’টো নয়, তিনটে পেট..সেটা ভুলে যেও না। টাকাটা মেয়ের জন্য দরকার রাজু, আমার আর তোমার জন্য নয়।’
রাজুর এখনও মনে পড়ে সেই দিনের কথাটা। রুপালি বাড়িতে ছিল না। রাজুও বেরিয়েছিল কাজের সন্ধানে। হঠাৎ রাস্তায় আফতাবের সাথে তার দেখা। কিছু এদিক ওদিকের কথার পর আফতাব তাকে বললো – ‘তোর বৌ দু’ তিনটে বাড়িতে রান্নার কাজ ধরেছে, এখন আর টাকার অভাব হবে না তোদের। আরও এক নতুন বাড়িতে শুনলাম কাজ ধরেছে তোর বৌ। লোকটা নাকি ব্যাংকের ম্যানেজার। একা থাকে নাকি। ভালোই টাকা রোজগার করে। তার যদি কৃপাদৃষ্টি তোদের উপরে থাকে তাহলে তোর আর কোনও কাজ না করলেও চলবে।’
কথাটা শুনে রাজুর কান মাথা নিমেষে গরম হয়ে গেল।
‘কী বলতে চাস তুই?’ কড়া গলায় জিজ্ঞাসা করলো আফতাবকে।
‘যেটা তুই মনে করছিস, সেটাই বলতে চাই। তুই যদি চাস তাহলে লোকটার বাড়ির ঠিকানা তোকে দিতে পারি। সন্ধান নিয়ে দেখ। লোকটা মোটেই সুবিধের নয়। তোর বন্ধু আমি। তাই তোর ভালোর জন্যই বলছি। এদিক ওদিক কিছু হয়ে যাওয়ার আগে, রুপালিকে বল সেখানে না যেতে। পারলে এখনই তার বাড়ি গিয়ে রুপালিকে নিয়ে চলে আয়।’
কোনও দিকে আর তাকালো না রাজু। বাড়ির পাঁচিল টপকে এক বন্ধ জানালার অল্প ফাঁক দিয়ে যা দেখলো সেটার কল্পনাও সে করতে পারেনি। নিজের দুঃখ, নিজের আক্রোশকে নিজের মনের মধ্যেই চেপে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিল সে। কথা বলতে ইচ্ছে করতো না রুপালির সাথে। তার মুখ দেখতেও ইচ্ছে করতো না রাজুর। রাজুর মধ্যে হঠাৎ এই পরিবর্তন লক্ষ্য করে রুপালি একদিন তার কারণ জিজ্ঞাসা করলো। অনিচ্ছাকৃত রাজুকে বলতে হলো সে দিনের সব কথা। তখনই রুপালি বলেছিল টাকার কথাটা।
‘টাকার প্রয়োজন আমাদের সুখ-আহ্লাদের জন্য নয় রাজু। টাকার প্রয়োজন ছোট্ট মেয়েটির জন্য। সে নিজের ইচ্ছেতে এই পৃথিবীতে আসেনি। তাকে আমরা নিয়ে এসেছি। আজ যদি অর্থের দিক থেকে তুমি স্বাবলম্বী হতে, তাহলে আমাকে এই পথে যেতে হতো না। আমি নিজের ইচ্ছেতে এই পথে আসিনি। পরিস্থিতি আমাকে নিয়ে এসেছে।’
প্রত্যুত্তরে রাজু বলেছিল- ‘তোমার মুখ দেখতে আমার ঘেন্না করছে রুপালি। এমন ভাবে রোজগার করে আনা টাকার থেকে নিজের মেয়েকে না খাইয়ে মেরে ফেলাটা হয়তো ভালো ছিলো।’
(3)
ধীরে ধীরে ফুটছে আলো। রাজু বেশ অনেক দূরই হেঁটে চলে এসেছে। পাশ দিয়ে দুয়েকটা বাস ও অটো পেরিয়ে গেছে। রাজু কি ইচ্ছাকৃত বাস কিম্বা অটোতে চড়লো না? নাকি সে তার নিজের দুনিয়াতেই নেই? নিজের মনে হেঁটে যাচ্ছে সে। বহু পুরনো কথা তার মস্তিষ্কে আসা যাওয়া করছে। মাঝে মাঝে এমনও হয়েছে নিজের মেয়েকেই সে সহ্য করতে পারেনি। অর্থ উপার্জনের কোনও পথ দেখা না গেলে নিজের জীবনই ব্যর্থ মনে হয়। সে সময়ে কারোর দায়িত্ব নেওয়ার মানসিকতা থাকে না। মেয়ে প্রায় সারা রাত চিৎকার করে খিদের জ্বালায়। মাঝে মাঝে সত্যিই খুব বিরক্ত লাগে রাজুর। মেয়েকে কষিয়ে দেয় দু’ তিন থাপ্পড়। মেয়ের চিৎকার দ্বিগুণ বেড়ে যায়। মাঝ রাতে কৃষ্ণর স্ত্রী এসে মেয়েকে নিয়ে চলে যায় গজগজ করতে করতে।
এক দিন রাজু কৃষ্ণকে বলেছিল- ‘আমার তো মনে হয় রুপালি ঠিকই করতো রে। কিছু না হোক মেয়েটা দুবেলা খেতে তো পেতো।’
‘খেতে তুইও পারবি আর নিজের মেয়েকে ভালো করে খেতে দিতেও পারবি। একটা কথা মনে রাখ রাজু, এই দুনিয়াতে টাকার আগে কিচ্ছু নেই। টাকা থাকলে তোর কাছে সব আছে, যদি টাকা নেই তো কিছুই নেই।’ একটা বড় পেগ বানিয়ে রাজুর দিকে এগিয়ে দিয়ে আফতাব বলল।
এক নিঃশ্বাসে সেটা গলাধঃকরণ করলো রাজু।
‘দেখ রাজু, তুই আমার ভালো বন্ধু তাই তোকে এসব কথা বলছি। সত্যি বলতে তোর দুঃখটা দেখা যাচ্ছে না রে। একে তো তোর কোনও চাকরি নেই তার উপর তোর বৌ তোর মেয়েকে তোর ঘাড়ের উপর ফেলে দিয়ে চলে গেল। তোকে আমি এক ভালো উপায় বলছি। ভালো টাকা কামাতে পারবি তুই।’
কথা শেষ করে আরও একটা বড় পেগ বানিয়ে রাজুর হাতে দিলো আফতাব।
‘কী উপায়?’ জিজ্ঞাসা করলো রাজু। তার কন্ঠস্বর জড়িয়ে আসছে।
‘তোর একটা পার্মানেন্ট রোজগারের ব্যবস্থা করে দেবো আমি। তোকে শুধু একটা কাজ করতে হবে। নিজের মেয়েকে আমায় দিয়ে দে। ফ্রীতে নয়, ফ্রীতে একেবারে নয়। পনেরো হাজার টাকা দেবো তোকে। ভাব একবার, পনেরো হাজার টাকা! সাথে তোর একটা রোজগারের পথ খুলে যাবে।’
ঘোলাটে চোখেই রাজু তাকালো আফতাবের দিকে। বললো – ‘শুওরের বাচ্চা, তুই কি ভাবছিস টাকার জন্য আমি নিজের মেয়েকে বিক্রি করে দেবো তোর হাতে?’
ডাল সহজে গলবে না, এটা ভেবে তখনকার মত চুপ হয়ে গেল আফতাব।
‘একবার কোনও রকমে রাজুকে কাজে ঢুকিয়ে দেওয়া গেলে, তারপর তো রাজু আমার কথায় উঠবে আর বসবে। মেয়ের ব্যবস্থা না হয় তখনই করা যাবে।’ মনে মনে ভাবলো আফতাব।
না, শুরুতে আফতাবের প্রস্তাব একেবারেই পছন্দ হয়নি রাজুর। কিন্তু পরে সে বাধ্য হলো, নিজের মেয়ের জন্য। তার মনে পড়লো রুপালির সেই কথাটা- ‘টাকাটা দরকার মেয়ের জন্য।’
বেশ কিছুদিনের জ্বর ও অন্য উপসর্গ হওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে যখন রাজু ডাক্তারের কাছে যায় তখন নানা পরীক্ষা করার পর ডাক্তার বলেন যে মেয়ের নাকি হার্টে ফুটো আছে। অপারেশন ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। মাথায় হাত পড়লো রাজুর। সরকারি হাসপাতালে তো বিনা খরচে অপারেশন হয়ে যাবে কিন্তু কোথাও না কোথাও ভয় থেকেই যায়। নিজের স্ত্রীকে হারিয়েছে রাজু, নিজের মেয়েকে হারাতে চায় না সে। বেশ কিছু লোকের মতামতের পর সে মেয়েকে ব্যাঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু হাতে এখনও সময় আছে। অর্থের অভাবে দিন কাটানো রাজু শেষে শরণাপন্ন হয় আফতাবের।
তিরিশের ঊর্ধ্বে বয়স হলেও রাজুকে দেখে কুড়ি বাইশ বছরের থেকে বেশি মনে হয় না। চেহারায় অদ্ভুত এক কচি কচি ভাব। তাই কাজটা পেতে বেশি অসুবিধে হলো না তার। মানুষের ভাগ্যের মালিক যখন অর্থ তখন আর ন্যায় অন্যায় চিন্তা করে লাভ কী? এই মানসিকতা যদি সে আগে দেখাতো তাহলে হয়তো রুপালি আজ তার পাশেই থাকতো। রুপালি এক সময় যে পথে এগিয়েছিল, আজ রাজুও সেই পথে। দুজনের উদ্দেশ্য একই.. মেয়েকে এই পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখা।
(4)
ধীরে ধীরে বেলা বাড়ছে। না, আর ওসব কথা চিন্তা করে লাভ নেই। আজ মধুলিকা তো কাল মৃন্ময়ী তো কোনও দিন মৃত্তিকা। বহু মহিলার সংসর্গে এসেছে সে। বেশ ভালো অর্থ রোজগারও করেছে। আজ সে ঠিক ভুলের চিন্তা করে না। যে হাতে পরস্ত্রীর নগ্ন দেহ স্পর্শ করে সে, পর দিন সেই হাতেই নিজের মেয়েকে ধরে আদরে ভরিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে দ্বিধায় পড়ে যায় রাজু। এই নোংরা হাতে কি নিজের মেয়েকে স্পর্শ করবে? ক্ষতি কোথায়? যদি নোংরাই বলা হয়, তাহলে তো তার সম্পুর্ণ শরীর নোংরা, তার আত্মা নোংরা। কোনটাকে বাদ দেবে সে? আফসোস শুধু একটাই রয়ে গেল। অর্থ উপার্জনের পথ যদি এটাই হওয়ার ছিল তাহলে রুপালিকে হারাবার কোনও মানে ছিল না। আজ মেয়েকে নিয়ে সে ব্যাঙ্গালুরু যাবে। সকালেই ট্রেন। তাই তাড়াতাড়ি পা চালাতে হবে তাকে। মোবাইলটা অন করে কৃষ্ণকে ফোন করলো রাজু। রোজ সকালে বাড়ি ফেরার পথে ফোন করে কৃষ্ণকে। মেয়ের খোঁজ নেয়। কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পর ফোন তুলে ওপার থেকে কৃষ্ণ বললো- ‘কোথায় আছিস তুই? রাত থেকে তোকে ফোন করছি।’
‘কাজে ছিলাম তো। কেন? কী হয়েছে?’
‘তুই তাড়াতাড়ি পাড়ার হাসপাতালে আয়। তোর মেয়ের শরীর ভালো না।’
প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে হাসপাতালের গেটের কাছেই রাজুর দেখা হয়ে গেল কৃষ্ণর সাথে। কৃষ্ণর বিষণ্ণ মুখ দেখে তার বুক ছ্যাঁৎ করে উঠলো।
‘কাল রাত থেকে স্বাস কষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। যা ওষুধ ছিল সেগুলো দিয়েছিলাম। কিন্তু লাভ হলো না কিছুই। শেষে হাসপাতাল আনতে হলো রাতেই।’ কৃষ্ণ বললো।
‘এখন কেমন আছে মেয়ে?’ প্রশ্ন করলো রাজু।
ঘাড় হেঁট করে দাঁড়িয়ে রইল কৃষ্ণ।
কৃষ্ণর থেকে বেড নাম্বার নিয়ে রাজু ছুটে গেল সে দিকে। ওয়ার্ডে ঢুকে দেখলো বেড নাম্বার 42-এর উপর আপাদমস্তক সবুজ চাদর ঢাকা দিয়ে শুয়ে আছে তার ছোট্ট মেয়ে। মুখ থেকে চাদর সরিয়ে রাজু দেখতে পেল দু’ চোখ বন্ধ করা তার মেয়ে যেন এখনও মুচকি মুচকি হাসছে। যেন সে রাজুকে প্রশ্ন করছে – ‘বাবা, এই টাকায় সুস্থ হওয়ার থেকে চলে যাওয়া কি ভালো না?’
Unbelievable story. Salute to the writer.
খুব কষ্ট হলো গল্পটা পড়ে