স্বপ্নের আশ্রয়
– মঙ্গল মন্ডল
স্বপ্নটাও তার এক সুখের প্রজাপতির ডানা,
উড়ে যেত ফুল থেকে ফুলে
মধুর গান গেয়ে ছন্দে তালে,
ঘুম ভাঙলে মন ভেঙে যেত,
আর একটু ঘুমানোর আপ্রাণ চেষ্টা,
না! এল না আর ওই স্বপ্ন,
সারাদিন ওই স্বপ্ন মন জুড়ে কল্পনা করত,
নিজেই হাসত লজ্জা পেত
আবার মনে মনে দু’চারটে কথাও বলে ফেলত,
মেয়েদের ওটাই তো অকৃত্রিম ভালোবাসা,
তাকে দু’দিন পর যে খুঁজতে হবে নিজের ঘর;
পাবে কি স্বপ্ন, পাবে কি স্বপ্নের ঘর!
পাবে কি আপন বাসায় স্বাধীন পাখি হতে!
তাকে তো স্বপ্ন নিয়েই থাকতে হবে,
কখনও বাপের বাড়ি, কখনও স্বামীর ঘর, কিন্তু আপন ঘর? সে কি আদৌ পায়?
তবু মেয়েটা খুঁজে বেরায় নিজের ঘর;
কেউ তাকে বলবে কি ডেকে, এসো
এটাই তোমার নিজের ঘর এটাই স্বাধীন বাতাস;
তবু প্রশ্ন,
স্বাধীন প্রজাপতি সাজতে কি পারবে সে?
বাতাসের ছন্দে মধুর স্বর গাইবে কি সে?
মেয়েটা ফুঁফিয়ে কাঁদে মৃদু স্বরে ঠোঁট কাঁপিয়ে বলে যায়,
“আপন যে হবে তাকেও আমার ঘর দিতে হবে, আমার ঘর..”