পিতৃত্ব বনাম সমাজ
-পায়েল সাহু
শিশুরাও কি বোঝে রক্তের টান?
যে শিশুর মুখে কথা ফোটেনি এখনো,
সেও কি বোঝে পিতার স্পর্শ?
যে পিতা রয়েছে সমাজের ,সন্তানের অগোচরে,
যে পিতা বাধ্য তার পিতৃ পরিচয় অস্বীকার করতে
সেই পিতাও যখন ভিন্ন পরিচয়ে সন্তানকে আদরে ব্যস্ত
অবলা শিশুটিও পিতার প্রশ্রয়ের আনন্দে মাতোয়ারা |
অচেনার প্রতি চরম বিমুখ, প্রতিক্রিয়াশীল শিশু
কোন আনন্দে মাতে অচেনা পিতার আদুরে আবদারে !
ঈশ্বরের এ কোন অপূর্ব সৃষ্টি, এ কোন গোপন টান
যা বইছে পিতা পুত্রের হৃদয়ে অন্ত সলিলা ফল্গু হয়ে |
হে সমাজ, নারীরাই শুধু বঞ্চিত হয়না
আচমকা অভিঘাত আসে পুরুষের জীবনেও,
ক্ষনিকের ভুলের শাস্তি পুরুষও পায়
নিজের সন্তানকে যখন অন্যের নামে পরিচিত হয় |
তবু সে যে পুরুষ, কাঁদতে নেই যাকে,
কষ্টে বুক ফেটে গেলেও মুখ লুকোতে নেই কারো বুকে
যে কখনো মৃত্যু চায়নি তার আত্মজের
বরং ভেসেছে ভালোলাগার উষ্ণ বারিধারায়
কখনো আপন করে নিতে পারবে না জেনেও
ভেসেছে পিতৃত্বর চরম সুখে |
পৌরুষত্ব কত রকমের হয় সমাজ?
যে পিতা চাইলেই দাবি করতে পারে তার পিতৃত্ব,
তবু অবহেলায় তুচ্ছ করে তার ইচ্ছে
শুধু রক্ষা করতে তার সন্তানের মায়ের সন্মান |
যে পিতা পুত্রের সম্মুখে এলে আনন্দে হয় দিগভ্রান্ত
পলকে যে হয়ে যায় দায়িত্ববান পিতা,
ভবিষতের স্বপ্নে যে হয় আনন্দে উদ্বেল
সে কি সত্যই কাপুরুষ তকমার যোগ্য?
যে ক্ষনিকের ভুলের দায় তার একার নয়
তবু যে প্রানপন বাঁচে সমস্ত কষ্ট আগলে তার নিজের করে
কুর্নিশ নাহয় নাই জানালে তাকে, হে সমাজ ;
তবু সে থাকবে তার প্রেয়সীর মাথার মুকুট হয়ে
যার জন্য সে পেয়েছে শ্রেষ্ঠ নারীর সন্মান |
বাহ্! দারুণ লিখেছো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ