জীবন
-অমল দাস
গাছের আড়ালে জানলা দিয়ে চাঁদ লুকোচুরি খেলছে,
ফুরফুরে হাওয়ার মশকরায় মশগুল
পাতাদের সমূহ!
দু-একটি জোনাকি মশারির আনাচে কানাচে হোঁচট খায়;
ভগ্নাংশের আলোতে অন্ধকারের ভয়!
একদিকে ঘররঘর ফ্যানের কোষ্ঠকাঠিন্য
অন্যদিকে আর্দ্রতা ভদ্রতা শেখেনি আজও!
এই দুইয়ের যৌথ প্রচেষ্টা -অবৈধ প্রজননে
নোনা জলের স্রোত পিঠের তলে।
একশ দিনের কাজে মাতোয়ারা পিঁপড়ের দল
নদীর উপত্যকা গড়ছে হাজার শতাব্দীর পথ ধরে।
রাতে বৈঠার সহজে ঘুম আসে না; তবুও-
সূর্যের অনুপস্থিতিতে নৌকাও এগোয় না
রোম সাম্রাজ্যের খোঁজে।
বন্দী আছি ইটের প্রতিটি খাঁজে বালির কণায় কণায়
দিবালোকে বাইরে ‘নট’ উঠোনে নিষেধাজ্ঞার ঘট,
পৃথিবীর এখন কঠিন অসুখ।
অনেক ভেবে দেখেছি আঁধারের কোলে মাথা রেখে
এভাবে ভেসে থাকার লড়াইটাই আসলে জীবন
মরণ তো হাত বাড়িয়েই আছে দুয়ারে…