প্রেমিক পুরুষ
– কাজল দাস
আজ থাক- ব’লো না প্রেমের কথা।
নীরব যত ব্যথার আজ হোক উন্মোচন,
শুধু ভালোবাসার কথায় নয় সমঝোতা-
আজ অচেনা প্রেমেই ভিজবো সারাক্ষণ।
যে ভাষায় সমস্ত পৃথিবী কথা বলে,
যে ভাষায় শব্দ নিরাকার,
জন্ম হোক সেই ভাষার অন্তঃস্থলে-
তোমায় ছুঁয়েই প্রেমের কবিতা।
আজ আর হাতে হাত চোখে চোখ নয়
গতানুগতিক গল্প গুলো আজ না হয় থাক-
থাক ভালোলাগা আর ভালোবাসার অভিনয়,
শুধু ইচ্ছেগুলো আকাশ খুঁজে পাক।
অযথা ঢেকে রাখা ভয়- লোকলাজ-
ছুঁড়ে ফেলে- হয়ে ওঠো মেঘবতী নারী।
তোমার অঝোর ধারায় স্নাত হয়ে আজ,
আমি যেন প্রেমিক পুরুষ হয়ে উঠতে পারি।
প্রেম বলতে লোকে যা বোঝে-
ঠিক সেই রকম ভালোবাসার কথা হোক-
প্রেম বলতে- এপাড়া ওপাড়া যেভাবে খোঁজে,
অশ্লীলতায় নিমগ্ন চোখ।
আজ সেভাবেই প্রেম হোক বেপরোয়া,
যে প্রেমের অভিধানিক অর্থ শুধুই-
প্রেম, প্রেম আর প্রেম আকাশ ছোঁয়া,
আজ আর নয় অন্য কিছুই।
বলতে পারো- এ ভারী অসভ্যতা,
বলতে পারো বেহায়া কোনো প্রেমিক,
আজ আর শুনবো না কোনো কথা-
আজ না হয় একটু- হলামই অসামাজিক।
তোমার বুকে ওপর আছড়ে পড়তে চাই,
যেন ভেজা ঠোঁটে আগুন হয়ে যাই,
আজ থাক না- শালীনতার উৎসব,
তোমাকে ছুঁয়ে অচ্ছুত করবো সব।
তোমার বুকে অসম পরিচয়,
আমার শরীর অস্থির ঠিকানা,
সব প্রেমিকার আকাশ হতে হয়,
প্রেমিক মানেই উদভ্রান্তের ডানা।
খুলে ফেল আজ বাঁধন আছে যত,
জানি অসম্মতির পাড়ায় ঢোকা মানা,
মেলে ধরো তুমি অবাধ্যতার ক্ষত-
দরজা খোলার মন্ত্র- আমারও জানা।
লাজুক চোখে আগুন জ্বলে যাক,
সেই আগুনেই পুড়বো নির্দিধায়
পুড়তে পুড়তে সময় হবে খাঁক,
প্রেম যে আজ নষ্ট হতে চায়।
তুমি বলবে এমন করতে নাই,
প্রেম বলতে শুধুই শরীর নয়-
নিভলে আগুন থাকবে উড়ো ছাই,
প্রেমের অর্থ ভালোবাসা সঞ্চয়।
তাই যদি হয় শরীরটা কোন কাজে?
কাছে আসার কি আর প্রয়োজন?
মনেই যদি শ্যামের বাঁশি বাজে-
রাধার কেন তাও ভরে না মন।
শুনবো না আজ কোনোই অজুহাত-
যদি তোমায় ছুঁয়ে মরতে হয়- রাজি,
আজ যে প্রেম -নিসর্গের পারিজাত,
তোমার শরীর উন্মুক্ত ফুলের সাজি।
জামার বোতামে আটকে থাকা মেঘে-
কিশোরী রঙের আকাশ ছুঁয়েছে বুক,
এখন শুধুই বৃষ্টির অপেক্ষায় জেগে-
হাত বাড়িয়ে মাখবো অলীক সুখ।
তুমি ছুঁয়ে দিলে প্রেমিক পুরুষ হবো-
সত্যিই বলছি-
ছুঁয়ে দিলেই প্রেমিক পুরুষ হবোই!
ছুঁয়ে দিলে মেঘ আকাশও নষ্ট হয়,
আমি তো ভারী সাধারণ এক প্রেমিক,
তবুও ছোঁয়ায় অকাল বৃষ্টি হয়।
তবুও ছোঁয়ায় অকাল বৃষ্টি হয়!