“জাগতী রহো”
– রাখী চক্রবর্তী
জাগতী রহো, জাগতী রহো,
মুই বাপ রেতে গেরামে ঘুইরা ঘুইরা হাঁক সাড়ে ,
বাপ রেতে কাজি যায়
প্যাট তাই ভাইত পায়।
রেতে দুয়ার মুর খালি থাকে,
মুর শরীল পেতে ন্যাতাদের মু দিয়া লালা পড়তি থাকে, পড়তি থাকে ।
এইক রেতে মুই বাপ সাঁস লিতে লিতে বইললো,
যতনে রাখিস লাঠঠিটারে,
তুর উপর বজ্জাত পুলাদের লজড় পড়লেই এইক ঘায়ে শ্যাষ করিস এক্কেবারে।
খাইটে খাওয়া মানুষ মুরা বটে,
ডরাই না ন্যাতাদের লাইল চক্ষু দেইখে।
লিজের গেরাম, লিজের দ্যাশ
পেইটে মারলো লাথ,
সুধু এর লগে কি মুরা লিচু জাত!
চাটায় শুইয়া স্বপন দেহনের দিন আর লাই,
বেটিয়া ছোট ছেল, ডর ছেল না তাই।
যহন বেটি হামার সেয়ানা হল্
গেরাম পরধানের লজড় পড়ল,
তহন লিচু যাত ক্যামনে জাতে উঠিল
জবাব দেও জবাব,
কাল রেতে উরা বলছেল, দ্যাশ না কি এগুচছে এইক ধাপ এইক ধাপ,
তহন দেইকি মুর বিটিয়া পিচোচ্ছে
এইক ধাপ, এইক ধাপ,
মুই কিচ্ছুটি বলার আগেই ক্যামনে যেন লদীর জল লাইচা উঠল ছলাত্ ছলাত্ ছলাত্
জাগতী রহো সকাল বেটিয়ার বাপ,জাগতী রহো সককল বেটিয়ার বাপ
জাগতী রহো,