কবিতা- কুসংস্কারের সাতকাহন

কুসংস্কারের সাতকাহন
– শিলাবৃষ্টি

 

 

আদিম মানুষ ছিল বনে
বন মানুষের রূপে,
মানুষ ছিল মহাসুখে,
অরণ্যে আর ঝোপে।
সেই মানুষই দিচ্ছে পাড়ি,
গ্রহে-গ্রহান্তরে..
তবু তো আজ ছেদ পড়েনি-
নানান কুসংস্কারে।
গুরুবারের বারবেলাতে-
যাত্রা করা বারণ,
সূর্যগ্রহণের মূলে নাকি-
পৌরাণিক এক কারণ।
যাত্রাকালে হাঁচি-সেতো …
অশুভ এক দ্যোতক,
ভুতে পাওয়া-সংস্কারের
বিকৃত এক রূপক।
আজও মানুষ মানুষকে দেয়-
‘ডাইনি’ আখ্যা!
পুড়িয়ে মারে তাকেই আবার-
নেই কোন ব্যাখ্যা।
সাপে কাটা ছেলেটিকে
ওঝার হাতে ছেড়ে,
বিজ্ঞানেরই জারিজুরি
ফেলছে দেখ ঝেড়ে।
পরীক্ষাতে যাওয়ার আগে-
ডিম দেখোনা কভু,
প্রশ্নপত্রে দয়া তবে
করবেন না প্রভু!
উল্টো জুতো-পরিবারে
কলহের এক কারণ,
একটি শালিখ দেখা না কি…
এক্কেবারে বারণ।
বোকা বাক্সে-বাঁধাধরা
অনেকগুলি আসন-
খুললে পরেই শুনতে পাবে-
জ্যোতিষীদের ভাষণ।
হোম কর, যজ্ঞ কর,
কেনো দামী রত্ন..
না হলেই সর্বনাশ!
পাবে না তাঁর যত্ন।
কালো বেড়াল পথ কাটলে,
আসবে বিপদ জেনো,
একুশ শতকেও কুসংস্কার
এই ভাবেতেই মেনো!
রবিঠাকুরের “অচলায়তনে”-
কুসংস্কারের রূপ..
সবাই তোমরা দেখেছ বন্ধু,
তাইতো হলেম চুপ।
ইমেল, ইন্টারনেট,
ল্যাপটপের এই যুগে..
অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারে
আজও মানুষ ভোগে।

Loading

Leave A Comment