সৌগন্ধে সৌন্দর্যে ভরা ফুল
– শচীদুলাল পাল
সুকোমল তোমার কায়া সৌন্দর্যময়
তাজা তাজা ফুলে দেবতা সন্তুষ্ট হয়।
ভ্রমরের আসা যাওয়া তোমার বাগিচায়
তোমার আগমনে স্বাগতের হাত বাড়ায়।
প্রস্ফুটিত যৌবনে পরাগ মিলনের আশায়
অলির গুঞ্জনে মৌমাছির আগমনে ভরে যায়।
ফুলমধু পান করে কায়া মাঝে ঘুম
চন্দ্রিমার জোছনায় রাত্রি নিঝুম।
পবিত্রতার প্রতীক তুমি নির্মল দেহ
ধরিত্রীর বুকে পায় প্রকৃতির স্নেহ।
সৌরভে সুবাসে ভরে ধরনী পর,
হাওয়ার দোলায় চলে ফুলের লহর।
তোমারত প্রান আছে জানে সর্বজন
তবু তোমায় ছিঁড়ে ঘটায় অকাল মরণ।
নিষ্পাপ ফুল যে পায়ের তলায় মাড়াই
মনোবিজ্ঞানী মতে খুনি সে সন্দেহ নাই।
সহনশীল তোমার নেই প্রতিকার
দেবতা চরনে ঠাঁই নেই অহংকার।
রূপ রস গন্ধে তোমার দর্শনে
মোহিত হই বছরভর ঋতু পরিবর্তনে।
গরমে জিনিয়া গন্ধরাজ বেলি দোপাটি
সূর্যমুখী মনিকুন্তলা মোরগঝুঁটি।
বরষার কদমে জুঁই চাঁপা শাপলা
মাধবী মালতী প্রজাপতি করে খেলা।
শরতের আগমনী বার্তায় কাশফুল শিউলি
শালুক মল্লিকা দোলনচাঁপা শেফালি।
হেমন্তের হিমের রাতে কামিনী
দেবকাঞ্চন অশোক হাস্নুহেনা মনহারিনী।
গাঁদা চন্দ্রমল্লিকা গোলাপ ফুলের রানী।
শীতের ডালিয়া কেলেন্ডুলায় মনমোহিনী।
বসন্ত আসে ডালে ডালে পলাশফুলে।
ঋতুরাজ আসে অশোকে আম্রমুকুলে।
আরো আছে কতশত ফুল নেই তার শেষ
রূপে গুনে মুগ্ধতার আবেশ।
জবাতে কালী, আকন্দে শিব সন্তুষ্ট
পদ্মে দুর্গা নয়নতারায় সব দেবদেবী তুষ্ট।
জন্মে মৃতে নৃত্যে পার্টিতে রজনীগন্ধার নাই তুলনা,
বর কনের মালাবদল ফুলসজ্জায় তুমি অনন্যা।