ঘর
– শিলাবৃষ্টি
আমরা তো ভাই ঘরেই থাকি,
ঘরেই কাঁদি হাসি,
ঘরেই আমরা কর্ম করি
হোক তা সাজো বাসি।
কোন্ অতীতে যত্ন করে
সাজিয়ে ছিলাম গেহ,
অনাত্মীয় মানুষগুলো
ছিলনা পর কেহ।
কর্মক্ষেত্রে ঘরের মানুষ
কর্মে যখন বিভোর,
দু’হাত দিয়ে আগলেছি ঘর
ছিল মনের জোর।
দুর্দিনে আজ পায়ে বেড়ি,
উপায় কি আর বলো!
বিশ্রাম হোক, কটা তো দিন
একটু কষ্টে চলো।
হাতে পাতে করছে সবাই
করছে গৃহকর্ম,
কেউবা চেষ্টা করতে গিয়ে
হচ্ছে গলদঘর্ম।
পাচ্ছে হাসি কাউকে দেখে
হচ্ছে কষ্ট মনে,
‘করোনা’ ভীতি এক করেছে
সকল আত্মজনে।
নিজের হাতে আলুর চপ আর
সান্ধ্য মশলা মুড়ি,
যাই বলো ভাই চায়ের সাথে
আছে কি এর জুড়ি?
পরিবারের সবাই কেমন
একটি ছাদের তলায়!
রাত দিন ভোর বিকেল সকাল
মাতছি পুতুল খেলায়।
ছোট্টবেলার খেলাঘরে
আমরা পুতুল বুঝি,
পেছন ফিরে অবসরে
শৈশব দিন খুঁজি।
এ যেন এক নতুন ঘরে
নতুন আলো আশা,
সম্পর্কের ভাঁজে ভাঁজে
মিষ্টি ভালোবাসা।
তেমন কি আর অসুবিধে
নির্বাসন তো ঘরেই;
পাঠিয়েতো কেউ দেয়নি আমায়
সেই সে তেপান্তরেই!
ঘরে কাটাই বেশী সময়
ঘরই আমার স্বর্গ,
সময়টা তাই থমকে তো নেই
এটাই আমার গর্ব।