অন্য স্বাধীনতা
– উজ্জ্বল দাস
এটাই হলো সেই স্বাধীনতা-
রোজ সকালে চায়ের কাপে
ধর্ষণ হয় হেড লাইন।
ধুঁকতে থাকা চিকিৎসাতে
পকেট কাটাই ডেড লাইন।
এটাই হলো সেই স্বাধীনতা-
শিক্ষা গৃহের অন্দরে-তে
পার্টি অফিসের বিরাট হেল্প।
পুলিশ তখন ছাড়ছে ধোঁয়া
পাবলিক করে ডিফেন্স সেল্ফ।
বুক বাজিয়ে চাপড়ে টেবিল
ঘুষটা যখন রোজ গেলা যায়,
পাড়ার মোড়ে স্বাধীনতা-
গাঁক গাঁকিয়ে ঠিক বেজে যায়।
এই স্বাধীনতা হয়তো আসে
চায়ের দোকানে আড্ডা-তে,
এই স্বাধীনতা হয়তো আসে
বারান্দা বা আলনাতে।
লাল সিগনালে হাত পেতে রোজ
যে হাত দু’টো ভিক্ষা চায়,
কেমন তর স্বাধীনতা-
ফুটপাতে যে রাত কাটায়।
সবাই যখন যুদ্ধ চেয়ে
তর্ক করে গ্রূপ চ্যাটে,
হোয়াটস অ্যাপের বাগ বিতন্ডা
ফেস বুকে হয় পোস্টাতে।
যে ছেলেটার বাপ শুয়ে থাকে
গান হাতে ওই সীমান্তে,
যে মেয়েটার চোখ ফেটে যায়
যন্ত্রনা হয় বুকটাতে।
সেই ছেলেটার স্বাধীনতা-
ফিরুক বাবা, যুদ্ধ নয়
সেই বাবা আজ কফিন বন্ধি
এই সমাজের কি আসে যায়!
এই স্বাধীনতা গান স্যালুটে
সীমান্তে হয় উদযাপন,
পুলওয়ামা বা পাঠান কোটের-
শহীদ যখন আপনজন!
কজন-ই বা এমন স্বাধীন
বিলাস বহুল বাথরুমে!
ইচ্ছেগুলোর লাশ পড়ে যায়
শব দেহ যায় শীত ঘুমে।
ভারতবর্ষ কেমন হবে
কেমন হবে রূপরেখা,
হোক সুজলম্ হোক সুফলম্
হোকনা শ্রেষ্ঠ এ দেশটা।
শ্রেষ্ঠ হোক আমার এ দেশ
হোক না ভারত মাতার জয়
“জয়হিন্দ” হোক সবার শ্লোগান
আসুক শান্তি না থাক ভয়।