এ..লো..মে..লো…
-রীণা চ্যাটার্জী
সুধী,
অসহযোগ চলছে কলম আর মনের। সংঘাত- বাস্তবে আর ভাবনায়। পরিস্থিতি বিচার করার ক্ষমতা সাময়িক ভাবে হয়তো বা অগোছালো- এলোমেলো। তবুও চলছে দিন, রাত আসছে- নীরবতা হাত ধরছে।
আরো কতো দূরে মুক্তির আলো- অজানা।
মুক্তি? কে জানে কোন মুক্তি আমাদের কাম্য।
ভয়- ভাবনাহীন একটা দিন, নাকি শেষ দিনের সূর্য? যে সূর্য আর তাপের ভয় দেখাতে পারবে না। তাপহীন দিনের জৈবিক শীতলতা- স্থবিরতা সেই মুক্তিই কি কাম্য? না কি অগোচরে এই স্থবির শীতলতা থেকেই পালাতে চেয়ে মুক্তি খোঁজে ভয়ার্ত মন।
হাজারো প্রশ্নের ভিড়- আকাশের তারারা চেনায় পথ? আসে পুষ্পরথ? না কি সবটাই ধোঁয়া আর ফাঁকি। তবে পার-আনি! সারা জীবনের সঞ্চয়? সুখ-দুঃখ, পাপ-পুণ্য? বোধ- বুদ্ধি- চেতনা!
জীবন বেসাতি দেখে মৃতের আঙিনায়। মহাজন- হরিজন- মহাজন, পরিক্রমা শেষ, সব বলা শেষ.. একটা জীবন যুদ্ধের শেষে- সম্পর্কের আল্পনা পড়ে থাকে। থেকে যায় বাকি শুধু খেলাশেষের জয়ের হাততালি। কুড়িয়ে নেওয়ার পালা। এপার- ওপার… অসহায় শীতলতা! নাহ্, আসলে মৃত্যু খুব স্বার্থপর।
আকাশটা বড়ো মেঘলা- মনের আকাশ। গুমোট..বৃষ্টি হলেও মেঘ কাটছে না। অহেতুক কথার মেঘে শুধু ভারাক্রান্ত হয়েই উঠছে ক্রমাগত।
সময় সব থেকে বড় চিকিৎসক, ধৈর্য্য মহৌষধ। আশা থাক সময়ের হাত ধরেই ফিরে আসবে সব আবার- আনন্দ, হাসি, কলতান..
আলাপী মন- এর সকল সাথীদের কাছে কৃতজ্ঞতা বিনি সুতোর মালার মতো পরিবারকে এক সূত্রে গেঁথে রাখার জন্য।
আগামীর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আলাপী মনের পক্ষ থেকে।