কবিতা- অপেক্ষমান

“অপেক্ষমান”
-সুমিতা পয়ড়্যা

সেই তেমাথার মাথার মোড়
আজ ও আছি দাঁড়িয়ে
হাতছানির অপেক্ষায়।
একলা দাঁড়িয়ে আছি
দাঁড়াতে দাঁড়াতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি
হায়রে আমার একলা ঘর
হায়রে আমার তাকিয়ে থাকা।
চাতকের মতো উদাস চাওয়ায়
সহজভাবে দাঁড়িয়ে থাকা।

জানিস কি তুই
একলা আমি দাঁড়িয়ে আছি
অনন্ত বিস্ময়ে কত যুগ যুগান্তরে।
ক্লিওপেট্রার চুম্বনে অমরত্ব লাভ
বঞ্চিত করেছি বারংবার।
আত্মগরিমায় অন্তর্দহন পুড়েছে,
অনাবৃত আকাশ তলে ঠিকানা করেছি নিজের;
বেঁচে আছি, গভীর অন্ধকার
ছুঁয়ে দেখেছি আত্মবিশ্বাসে।
আসেনি, কেউ আসেনি।

সাতরঙা রঙে রাঙাবে হৃদয় পট।
কোন অমৃত রস বার্তা বয়ে আনেনি
যাতে নিজের অহং কে রঞ্জিত করা যায়!
অবিরাম প্রাণের স্পন্দন অনুভূত
প্রতিটি শিরা-উপশিরায় রক্তিম চাঞ্চল্য;
সকল সৃষ্টি, কৃষ্টি গাঁথা অনিবার
সকল স্তুতি গানের অবারিত মুক্তদ্বার
তবুও কেউ আসে না, আসেনি।

সেই হতভাগ্য আমার একার দাঁড়িয়ে থাকা।
সূর্য উদিত হয় অস্ত যায় আবার উদিত হয়
ডুব দেয়া আর ওঠা, ওঠা আর ডুব দেয়া
আর একা একা দাঁড়িয়ে থাকা।
হাতছানির অপেক্ষায়।
অপেক্ষমান দাঁড়িয়ে থাকা আমি
আর তেমাথার মোড়।
অধরা হাতছানির অপেক্ষায়
শুধু অপেক্ষায়…….।

Loading

Leave A Comment