নীরব প্রেম
– শিলাবৃষ্টি
কতকাল কেটে গেছে … তবু কেন ছবিগুলো এত স্পষ্ট! রাতের আকাশে তাকিয়ে থাকতে বড় ভালো লাগে কবিতার। এই সময়টা কারো সাথে ভাগ করতে পারেনা সে। সময়টা শুধু নিজের- যত ভাবনার, যত স্মৃতির।
কেউই সেদিন বলে উঠতে পারেনি ‘ভালোবাসি’ এই ছোট্ট কথাটা। কী লাভ হল তাতে! একজন একাই জীবন কাটাচ্ছে, আর একজন- অনেক মানুষের মধ্যেও একা।
প্রতি মুহূর্তে সেদিন যার প্রতি টান অনুভব করতো, কারণে অকারণে ছুটে যেত- কতকাল হয়ে গেল তার সাথে দেখাই হয়নি। কবিতা বুঝতে পারতো- সৌমদার সাথে কোথাও যেন একটা যোগসূত্র ছিল সেদিন। সৌমদা সব কথা তার সাথেই শেয়ার করত। অঙ্ক করানোর ফাঁকে ফাঁকে গল্প, কথা, হাসি- ঠাট্টা কত কী …
তবু ফাঁকি ছিল না তাতে। অসম্ভব এক ভালোলাগা কাজ করতো মনের মাঝে।
না……বলা হয়নি কিছুই সেদিন।
মনের ভাবাবেগগুলো মনের বাইরে আসেনি। চাকরি পেয়ে চলে গেল সৌমদা উত্তরবঙ্গের এক কলেজে। বলেও গেল না কিছু।
কবিতারও বিয়ে হয়ে গেল, সংসার আষ্টে পৃষ্ঠে ঘিরে ধরল তাকে। সময়গুলো কীভাবে যেন পেরিয়ে গেল।
রবীন্দ্র সদনে “কবিতা ও গানে গানে”র অনেকগুলো পাস পাওয়া গেছে। আজ অনেকদিন পর ভালো লাগছে খুব। দুই মেয়ে, স্বামী, দেওর সবাই একসাথে যাচ্ছে বাড়ির গাড়িতে। তবে …
চমক তখনো বাকি ছিল। সঞ্চালকের গলা কানে আসতেই বিস্ময়ে হতবাক কবিতা।
-” এরপর কবি সৌম সরকারের নতুন কাব্য ‘নীরব প্রেম’এর মোড়ক উন্মোচন হবে, আমরা তাঁকে মঞ্চে আসতে অনুরোধ করছি।”