মুড়ি মুড়কি
– সঞ্জিত মণ্ডল
মুড়ি মুড়কির এক দরেতে বাজার গরম বেশ,
চিনি মিছরি এক হলে তার যন্ত্রণার একশেষ।
যখন দেখি কাব্য বিচার করেন সভ্যজন
কার মাদুলি কতো বড়ো হিসেব কুলক্ষণ।
ড় এর ঘরে র বসে যায় মাথা নাড়ে না,
নাড়া নারা পড়া পরা মানেই বোঝে না।
রসিক সুজন চন্দ্রবিন্দু পেত্নীতে লাগায়,
ভূতের বাপের আদ্য শ্রাদ্ধ কে সামলাবে দায়।
বাঁশির সুরে মন মজেছে বাজায় কালাচাঁদ,
আঁধার রাতে ভূতের ওঝা ঝাঁটায় তোলে ঝাঁজ।
ভূত পেত্নী দত্যিদানো নাকি সুরে কয়,
কে কেমনে শুনবে কথা সে বড়ো বিস্ময়।
রবির আলো দিনেই ভালো রাতের বেলায় চাঁদ,
ঘুঘু তো অনেকেই দেখে কেউবা দেখে ফাঁদ।
নিকষ কালো অন্ধকারে অমাবস্যার রাত,
ছাতা, কলম, বইও বেহাত পড়লে অচিন হাত।
সের দরেতে কাগজ কলম লেখক বেসামাল,
কাছাখোলা সাহিত্যিকরা হয় শুধু নাকাল।
বড়ো লেখা পড়তে শেখা ধৈর্য থাকা চাই,
বিনা পয়সার লেখন বলে হচ্ছে যাচ্ছেতাই।
বই কিনতে পয়সা লাগে ছাপার খরচ কতো,
মাথা নেড়ে হিসেব করে কেষ্টবিষ্টু যতো।
ভালো লেখা পড়া দুটোই ফেস বুকেতে হয়,
কষ্ট বিহীন অমূল্য সে খুঁজুন মহাশয়।