অণু গল্প- ভোরের ফুল

ভোরের ফুল
  -রাণা চ্যাটার্জী

 

 

কি করলে মা,চমকে বুম্বা!
বাচ্চাটা ফুল কুড়াচ্ছে তাবলে জ্বলন্ত চ্যালাকাঠ ছুঁড়বে?

ঝি পুতুল কঁকিয়ে ওঠা ফুলকিকে নিয়ে দৌড়ালো।  রত্না রেগে অস্থির,এমন মানুষ নিয়ে সংসার সম্ভব ? নিজের নাতনি মালা গাঁথবে তাতেও গজ গজ।

পুতুল ভয়ে মেয়েকে আনে না।আজ দুর্ভাগ্য।খেলছিল উঠোনে হঠাৎ ঠাকুমার চিৎকার,মেয়ের কান্না!

ছেলে-বৌ  থাকতেও কাঠের জ্বালে নিজের রান্না করে অবিশ্বাসী শাশুড়ি। ফুলকি ফুল কুড়াতেই জ্বলন্ত কাঠ ছুঁড়েছে!বুম্বা ভাবে মা কি সাইকো!

হসপিটাল নিয়ে যেতে হবে ফুলকিকে।গাড়ি বের করে স্টার্ট দিলো বুম্বা।শুধু হাত পুড়েছে তাই নয়,কানের নিচে জোর আঘাতে এখনো অজ্ঞান।

তিন রাত্রি যমে মানুষে টানাটানি শেষে মৃতদেহ গ্রামে এলো রাত্রে।কান্নার রোল আর গোটা গ্রাম ফুঁসছে ঘেন্নায় রাগে।কেউ বলছে জ্বালিয়ে দাও বুড়িকে,ও ডাইনি।

সবাইকে অবাক করে ধীর পায়ে ঠাকুমা হেঁটে এলো-এক আঁচল ভোরের ফুল ঢেলে দিলো মৃত ফুলকির শরীরে,ঢলে পড়লো নিজেও। স্তব্ধতা! লুকানো ছুরি নিজের বুকে সজোরে বিঁধেছে বুড়ি!সাদা ফুল গুলো রক্তে ভাসছে।

Loading

One thought on “অণু গল্প- ভোরের ফুল

Leave A Comment