গেরো
– সঞ্জিত মণ্ডল
একটা বন্ধু বললো হেসে হাড় পড়েছিস কেন,
বন্ধু বলে মুচকি হেসে হাড় পড়বো কেন।
হারের মালা গলায় পরে সেটা পড়া নয়,
হারের বিষয়ে লেখাপড়া করলে পড়া হয়।
বাধা বাঁধা সাদা সাধা কখনো এক নয়,
মরা মড়া করা কড়া ভিন্ন মানে হয়।
সারা সাড়া কতো কে তো বড়া বরা বলে,
নিদেন পক্ষে না জেনে সব জোরে জোড়েই চলে।
ঝরা ঝড়া ছরা ছড়া ভরা ভড়ার দলে,
কতো কে যে সামিল হলো তাড়ি তারি বলে।
চড়া চরা পাড়া পারা একই হলে পরে,
লেখা পড়া জামা পরা অনেক কথার ছলে।
গরুর কথা গড়ুর পাখি শুনেও যদি ফেলে,
মার আর মাড় এর মধ্যে যতো তফাতটা সে ভোলে।
পুড়ছে আর পুরছে যদি একই মানে করো,
হিসেব করা আর হিসেব কড়া মাথা খুঁড়ে মরো।
তরকারি আর তড়কাড়ি সব একই হবে কি-না
আ- নারি আর আনাড়ি সব হাতে যাবে গোনা।
ঝুরি ঝুড়ি এক নয়কো তাও বলে যাই,
সত্যি মিথ্যে সকল কথাই যাচাই করা চাই।
চেয়ার-টেবিল লাইট বা ল্যাম্প বাংলা হয়ে গেছে
আত্তি করণ করলে ভাষার দৈনতাও ঘোচে।
জনপ্রিয় শব্দ সবাই নিজের করে নেয়,
অশ্লীল কুরুচিকর শব্দ বিসর্জনে যায়।
বিচিত্র এই বাংলা ভাষার বৈচিত্র্য যে কতো,
একই মিষ্টি বাংলা ভাষার উচ্চারণের মতো।
বুনো ওলের বাঘা তেঁতুল যেমন গাছে আছে,
লড়াই করে বাংলা ভাষা দেশ বিদেশে আছে।
ফাটিয়ে দিয়েছেন সঞ্জিত দা। কামাল করা কড়া লেখা।
যা দেখছি চারদিকতে বাধ্য হয়েই গড়া
পরা পড়ার ছদ্মবেশে হাসি মজার ছড়া।