এক ফালি
-রীণা চ্যাটার্জী
ছেলের বিয়ের ঠিক হয়েছে। পাঁচ শরিকের বাড়িতে ঘরের বড়ো অভাব। চোখ পড়লো অসহায়, পঙ্গু, বাল্যবিধবা দিদির উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ঘরের দিকে। সাবেকি বাড়ির বড়ো বড়ো ঘর। দিদি একা বুড়ো মানুষ অত বড়ো ঘর একা থাকে। এক ফালি তো দিতেই পারে। মিষ্টি কথায়, ভালোবেসে দিদির আর্শীবাদী হাত মাথায় নিয়ে নেমে পড়লেন ছেলের ঘর তৈরী করতে। ছোট ভাইয়ের স্নেহে অন্ধ দিদি মেনে নিলেন, এক ফালি ভাগ দিতে বিনা শর্তে। মিস্ত্রী এলো, ঘর ভাগ হলো- একটা এক ফালি ঘর তৈরী হলো। তবে সেটা বিধবা দিদির জন্য। হতবাক পঙ্গু দিদি ছোটো ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন করলেন, তুই যে বললি এক ফালি জায়গা দাও, ছেলেটাকে নাহলে বাড়ি থেকে চলে যেতে হবে। আজ ঘরটাকে ভাগ করে আমাকেই এক ফালি দিলি! এ তোর কেমন হিসেব রে ভাই? তার থেকে সমান দু’ ভাগ করতে পারতিস তো..
আর্শীবাদপুষ্ট ছোটো ভাই তখন রক্ত চক্ষু করে বললো, একা বিধবা মা*র কতো জায়গা লাগে। যা দিয়েছি ওতেই থাক চুপচাপ, নাহলে বাড়ি থেকে বের করে দেবো ঘাড় ধাক্কা মেরে।
অসহায় বিধবার হয়ে বাকি শরিকরা কেউ কিছু বললো না। চোখের জলে দিদি বরাদ্দ এক ফালি মেনে নিলেন।