স্বপ্ন যেখানে ছোঁয়া যায়
– সঞ্জয় গায়েন
এটা এক স্বপ্নের গল্প। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার গল্প।
হ্যাঁ, শুরুর আগে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ: যারা স্বপ্ন সত্যি হবে না এই ভয়ে স্বপ্ন দেখতে চান না, এ গল্প তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয়। কিছুটা ক্ষতিকরও বটে। সময়ের ক্ষতি আর কি। সময়ের প্রসঙ্গ যখন এসেই গেল, তখন বলা দরকার, স্বপ্ন দেখতে হলে সময় তো দিতেই হবে। কিন্তু সেই সময় বড় কম। তাই তো? সময় নেই, অথচ স্বপ্ন দেখার ইচ্ছে আছে এবং তা সত্যি হোক সেটাও চান, এ গল্পটা এক্কেবারে তাদের জন্য।
তাহলে শুরু করা যাক।
গল্পের নায়িকা হিয়া। ও একটি টিন-এজার। সেভেনটিনথ। আর নায়ক কৃশ। ও টুয়েন্টি ওয়ান। বুঝতেই পারছেন ছুটন্ত বয়স। এক মধ্যরাতে হঠাৎ-ই, এরা একটা স্বপ্ন স্টার্ট করলো এবং পরদিনই তা সত্যি হয়ে গেল।
আমি জানি আপনারা প্রত্যেকেই এমন চান। তাই এ গল্পের ক্যাচলাইন স্বপ্ন দেখলেই সত্যি। এবার তাহলে গল্পটা বলি। কিভাবে ওরা স্বপ্ন দেখা শুরু করল আর তা সত্যি হল।
হিয়াকে ওর বাবা বার্ড-ডেতে একটি ল্যাপটপ গিফট করেছে। ও সেদিনই নিজের ই-মেল আই-ডি ক্রিয়েট করেছে এবং অ্যাকাউন্ট খুলেছে ফেসবুকে। এতদিন ওকে মায়ের সাথে রুম শেয়ার করতে হতো। ন্যাচারালি, রাতে চ্যাট করতে পারতো না। তাই ফেসবুক করে নি। আজ থেকে ও সেই ফ্রিডম পেয়েছে। ওর একার জন্য একটা রুম।
ফেসবুক ওপেন করতে করতেই ও স্বপ্ন দেখল, যে ওকে প্রথমবার্থ-ডে উইশ করবে, সে হবে ওর বেস্ট ফেবুফ্রেন্ড এবং তাকে ও ওর সবকিছু উজাড় করে দেবে।
কৃশ সেই লাকি বয়।
সামান্য কিছু সময়েই ওরা চ্যাট করে একে অপরের পছন্দ অপছন্দ জেনে নিয়েছে। হিয়া ওর স্বপ্নের কথাও কৃশকে জানিয়ে দিয়েছে। এন্ড কৃশ তা অ্যাকসেপ্টও করেছে।
আচ্ছা এই ফাঁকে, হিয়া ও কৃশের পি ডি মানে পারসোনাল ডিটেলস জেনে নেওয়া যাক। হিয়া সদ্য এইচ এস দিয়েছে। মা বাবার একমাত্র মেয়ে। আর কৃশ ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট। ফাইনাল ইয়ার। ও-ও মা-বাবার একমাত্র সন্তান। ওর বাবা মা দুজনেই সার্ভিস করে আর হিয়ার বাবার বিজনেস। এটুকুই যথেষ্ট। কারণ গল্পটা যখন হিয়া আর কৃশকে নিয়ে তখন ওদের ফেমিলি হিস্ট্রি দীর্ঘায়িত করে কি লাভ?
এদিকে হিয়াদের ফ্রেন্ডশিপের আয়ু ওয়ান আওয়ার ক্রশ করেছে এবং এই ফার্স্ট আওয়ার ওর খুব এনজয় করছে। কিভাবে? চলো লেটস সি।
-অ্যাই হিয়া, কি ভাবছিস?
-কিচ্ছু না। আমি জাস্ট এনজয় দিস মোমেন্ট।
-দিস মোমেন্টকে আরও একটু মেমোরেবিল করতে একটা জিনিস চাইবো। দিবি?
-কি?
– অ্যা সুইট কিস।
-ধ্যাৎ।
– দে না রে। প্লিজ।
– ঠিক আছে। দিচ্ছি। তবে, শুধু ওইটুকু। এর বেশি কিছু চাইবি না কিন্তু।
– বা রে, তুই তো বললি আমাকে সবকিছু উজাড় করে দিবি। এখন প্রমিস ব্রেক করছিস কেন?
– অ্যাই, একদম বাজে কথা বকবি না।
– আমি বাজে বকছি? নাকি তুই?
– ও.কে. কি চাই বল?
– তোকে এক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।
– কোথায়? কবে?
-কাল। মানে আজ রাতটা ফুরোলেই।
– উফ্। তোর সবকিছুতেই তাড়া দেখছি।
– ইয়েস ম্যাডাম, সময় কোথায় সময় নষ্ট করবার।
– ও.কে. তা কোথায় নিয়ে যাবি সেটা তো বল।
– নো, ও-টা-আ সিক্রেট। তবে কলকাতার মধ্যেই।
-প্লিজ, বল।
– আবার…
– ও.কে.। কখন আর কোথায় যেতে হবে বল।
– রাজারহাট সিটি সেন্টারের সামনে। সকাল দশটা।
– ওঃ! এই তোর সিক্রেট প্লেস। সিটি সেন্টারে লাঞ্চ, আইনক্সে মুভি আর কিছু শপিং।
– নো ম্যাডাম। তোকে ওখানে নিয়ে যাব বলি নি। ওখানে জাস্ট আমরা মিট করব। তারপর দুজনে যাব ড্রিম টাউনে।
– ওয়াহ। সেটা কোথায় জিজ্ঞেস করব না। বাট তুই পাংচুয়াল তো? সিটি সেন্টার দশটায় খোলে না। সো আমায় বাইরে ওয়েট করতে হবে।
– ডোন্ট ওয়ারি। আমিই আগে পৌঁছে যাব। তোকে ওয়েট করতে হবে না।
– গ্রেট। এই তোকে চিনতে পারব তো?
-কেন? ফেসবুকে আমার যে ইমেজগুলো আছে সেগুলো কি অন্য কারও মনে হচ্ছে?
– তা নয়। তবে এডিট করে পোস্ট করেছিস তো…
– মোটেও না। সব ন্যাচারাল।
– তাই! খুব ভালো। হি হি হি।
– ইয়েস ডিয়ার। বাট তোরগুলো কি?
– আমিও ন্যাচারাল বিউটি। আমার এডিটিং করতে হয় না।
– বুঝেছি। তাইতো এখুনি তোর কাছে যেতে ইচ্ছে করছে।
– আয়। বারণ করেছি নাকি?
– সত্যি সত্যি চলে যাব কিন্তু।
– আয়। তবে বাড়াবাড়ি কিছু করবি না তো?
– সে আমি কি জানি! তুই যখন সব উজাড় করে দিবি বলেছিস, তখন তুই জানিস।
– দেব রে বাবা দেব, অতবার করে মনে করিয়ে দিতে হবে না। এখন গুড নাইট। কাল তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।
– ই-য়া-আ! গুড নাইট। উ-উ-উ-উ-ম। হ্যাভ এ সুইট ড্রিম।
এতক্ষণে নিশ্চয় বোঝা গেছে, কৃশ আর হিয়া রিলেশানের কোন্ স্টেজ অ্যাচিভ করেছে। ওদের কাল সকালের টার্গেট কি সেটাও আর কারও অজানা নেই। তবে সেই টার্গেট ফুলফিল হবে কিনা এখনই বলা পসিবিল নয়। পৃথিবী দ্রুত পাল্টাচ্ছে। তাই পূর্বাভাস যতই রোদ ঝলমল রঙীন দিনের ইঙ্গিত দিক একটা সুনামি কিংবা স্যান্ডি ওদের হৃদয় আকাশ মেঘে ঢেকে দিতে পারে। যাইহোক দেখা যাক, কি হয় এরপর।
পরদিন। কাঁটায় কাঁটায় সকাল দশটায় যাকে বলে একেবারে জাস্ট টাইমে ওরা মিট করল। একে অপরকে চিনে নিতে সামান্য প্রবলেম হলেও অসুবিধা হল না। ছবি আর জীবন্ত। এর মধ্যে একটু ডিফার তো হবেই। অনেকে বলে ছবি নাকি মুখোশ। আর জীবন্ত যেটা সেটাই আসল মুখ। ছবি দেখে চরিত্রের কিছু বোঝা যায় না। হাসিহাসি মুখের ছবিওয়ালা কথায় কথায় রেগে যায়। আবার গোমড়ামুখো ছবির মানুষ যে এত হাসাতে পারে ভাবা যায় না। যাইহোক দর্শনতত্ত্বের আলোচনা এখন থাক। বরং দর্শন করা যাক হিয়া আর কৃশকে। দেখা যাক ওরা প্রথম দেখা, প্রথম দুজনের কাছে আসা, কিভাবে এনজয় করছে।
-ওয়াহ! ইউ আর সো বিউটিফুল হিয়া। আই ক্যান্ট বিলিভ। তুই ছবির থেকেও সুন্দর।
-থাক। আর মিথ্যে প্রশংসা করে আমার মনজয়ের চেষ্টা করতে হবে না। চল। তোর ড্রিমটাউন কোথায় দেখি। যদি সত্যি টাউনটা ড্রিমফুল হয় তোকে আজই আমার আমিকে গিফট দেবো।
– গ্রেট। চল লেটস গো।
ওরা হাঁটতে হাঁটতে এভাবেই কথা বলে চলেছে। সিটি সেন্টারকে পিছনে ফেলে রেখে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠের উপর যে কালো পিচরাস্তাটা শুয়ে আছে তার বুকের উপর দিয়ে। হাঁটতে হাঁটতে ওরা হাসছে। একে অপরের গায়ে হেলে পড়ছে মাঝে মাঝে। এভাবেই দুজন দুজনের শরীরের সুগন্ধ মাখতে মাখতে হেঁটে চলেছে। পাশ দিয়ে ফুলস্পিডে ট্যাক্সি ছুটে যাচ্ছে। মাঝেমাঝেই মাথার খানিক উপর দিয়ে প্লেন উড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওদের সেদিকে কোন লক্ষ্য নেই। ওরা হাঁটছে তো হাঁটছেই। যেন পথ হারিয়ে পথের খোঁজে চলেছে।
অবশেষে পিচরাস্তাটা বাঁক নিতেই ওরা থামলো। সামনেই একটা ছিমছাম রিসর্ট। নাম-ড্রিমটাউন। নীচে ক্যাচলাইন-এনজয় দ্য নেচার।
-কি হল চল?
– কৃশ, এ কোথায় নিয়ে এলি আমাকে?
– চল, নিজেই দেখবি।
-কি আর দেখবো? বাইরে থেকেই সব বুঝতে পারছি।
-নাঃ! পারছিস না। এটা সত্যিই স্বপ্ননগরী। আমাকে বিশ্বাস করে ভিতরে চল। সত্যি এখানে স্বপ্নকে ছোঁয়া যায়।
– কি যা তা বলছিস?
-ঠিকই বলছি। চল, ভিতরে চল। স্বপ্ন ছুঁতে পারবি।
জানি। সকলেই কৌতুহলী। উৎসুক। স্বপ্ননগরী ছোঁয়ার জন্য। অবশ্য অনেকেই ইমাজিন করছেন অলরেডি। তবে তাদের ইমাজিন করা থেকে বিরত থাকতে বলব। স্বপ্ননগরীর পরিবেশ কল্পনাতীত। তাই জাস্ট চিন্তা করা ভুলে গিয়ে, শুধু দেখতে থাকুন।
হিয়া মৃদু আপত্তি করা সত্ত্বেও কৃশ প্রায় জোর করে ওকে রিসেপশান রুমে নিয়ে গেল। রুমটার চারদেয়ালই কাচ দিয়ে তৈরি। অনায়াসে একে কাচঘর বলা যেতে পারে। তবে এগুলি সাধারণ কাচ নয়। ম্যাজিক মিরর। ড্রিমটাউনের ভাষায় মিরর অফ ড্রিম। এর যে কোন দিকে তাকালেই আপনার নিজেকে একটা অন্যরূপে দেখার ইচ্ছা হবে , আর আপনার সেই ইচ্ছে মিররে ছবি হয়ে ফুটে উঠবে। হিয়া মনে মনে ভাবছিল, ও যেন রজনীগন্ধা রঙের ঘাঘড়া পড়ে ফুলের দেশে হাঁটছে। ভাবামাত্রই দেয়ালগুলো মুহুর্তে ফুলের দেশ হয়ে গেল। চারদিকে কত রঙ বেরঙের ফুল ফুটে আছে। প্রজাপতি উড়ছে। হিয়া সেগুলি ধরার জন্য ছুট্টে যেতে চাইল।
পারলো না। কৃশের ডাকে ফিরে আসতে বাধ্য হল।
‘চল, বুকিং হয়ে গেছে। রুম নম্বর থ্রি জিরো সেভেন।’ বলেই কৃশ রুমের চাবিটা হিয়ার হাতে দিল। দিয়ে বললো, ‘তুই রুমে চল, আমি একটু পরেই যাচ্ছি। আর হ্যাঁ, ইয়োর শ্যু মানে জুতোটা বাইরে খুলে রেখে খালি পায়ে ঢুকবি। এখানে এটাই নিয়ম।
হিয়া বাধ্য মেয়ের মতো কৃশের কথা মেনে একাই রুমের দিকে এগিয়ে গেল। একবার ঘাড় ঘুরিয়ে জাস্ট আশপাশটা দেখে নিয়ে রুম ওপেন করলো। ভিতরে ঢোকামাত্রই দরজাটা অটোমেটিক ক্লোজড হয়ে গেল।
বিশাল বড় ঘর। কিন্তু সম্পূর্ণ ফাঁকা। চারদেয়ালে একটা জানালাও নেই। ভিতরটা বড্ড অন্ধকার। হিয়ার গা-টা ছমছম করে উঠল। হঠাৎ ওর মনে হল, কোথা থেকে যেন আলো এসে ঘরটাকে একটু একটু করে আলোয় ভরিয়ে দিচ্ছে। হিয়া নিস্তদ্ধ হয়ে দেখতে লাগলো। সেই মৃদু আলোয় ও দেখতে পেল ঘরের মেঝেটা সবুজ ঘাস দিয়ে ঢাকা। কী নরম ঘাস! পায়ের তলায় সুখের পরশ। ঘাসের ডগায় মুক্তোকণার মতো বিন্দু বিন্দু জমে থাকা শিশির ওর পা ধুয়ে দিল। ভেসে এল জাদুকন্ঠ, ওয়েলকাম টু আওয়ার ড্রিমরুম।
এবার ঘাসের মেঝেতে পায়চারি করতে করতে দেয়ালে চোখ রাখল হিয়া। সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পেল, ভোরের প্রথম সূর্য। ও বুঝতে পারল, এই সূর্যটায় এতক্ষণ আলো দিচ্ছিল। ও আনন্দে নেচে উঠল। সূর্যটা এত কাছে! একবার ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে হল। উঃ! উষ্ণতার ছোঁয়ায়সারা শরীর কেঁপে উঠলো।
এত্তবড় ঘরে ও একা। আর কেউ ওকে দেখতে পাচ্ছে না। আনন্দে খানিক দৌড়ে নিল। শুয়ে পড়ল ঘাসের উপর। জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকল। বুকটা ওঠানামা করছে। ঠিক তখনই ওর চোখ পড়ল ঘরের কোণে। একরাশ শিউলি ঝরে পড়ে আছে। দুহাতে আঁচলা ভরে ফুল কুড়িয়ে নাকের কাছে ধরল। মিষ্টি সুবাস।
হঠাৎ হিয়ার জল পিপাসা লাগল। লাগামাত্রই চোখ গেল অন্য এক দেয়ালে। ঝর্নাধারার ছবি। কিন্তু এত জীবন্ত মনে হল যেন সত্যি জল ঝরছে।
ওর ঝর্নার জল খাওয়ার ইচ্ছে হল। মুখ ঠেকালো ছবিতে। ঠেকাতেই ওর ঠোঁট ভিজে গেল! হিয়া দুই হাত জড়ো করে ঝর্ণামুখে ধরল। মুহুর্তের মধ্যে কোথা থেকে জল এসে হাত ভরে যেতে লাগল। ও পান করতে শুরু করে দিল।
এতক্ষণ কেটে গেল। কৃশ কোথায়? হিয়ার মনে আদৌ এ প্রশ্ন এল না। ও যেন হারিয়ে যেতে চাইছে। একা একা। তাই কৃশ কোথায় তা পরে জানা হবে। এখন হিয়া কি করছে দেখা যাক।
পুরো ঘরটা চড়া রোদে ভরে গেছে। এবার হিয়ার গরম করতে লাগল। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। জিনস্-টপ ঘামে ভিজে শরীরে লেপ্টে গেছে। রীতিমতো বিরক্তি ফুটে উঠল চোখে মুখে। ঠিক তখনই কোথা থেকে কালো মেঘ এসে ঢেকে দিল সূর্যটাকে। দেখতে দেখতে ঘরের ছাদ পুরো মেঘে ঢাকা। তারপরেই বিদ্যুৎ ঝলক। কড় কড় কড়াৎ। হিয়া ভয়ে মুখ ঢেকে মেঝেতে বসে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি এল। বৃষ্টি এল ছাদ জুড়ে। ঝমঝমিয়ে।
হিয়া নেচে উঠল। ভিজতে লাগল ঠায় দাঁড়িয়ে। তখনই চোখে পড়ল অদূরে একটা ময়ূর দাঁড়িয়ে। সত্যিই তাই। পেখম মেলে নাচছে। আ-আ-হা। কী আনন্দ ! হিয়াও নেচে উঠল। ছুটে গেল খসে পড়া একটা পেখম তুলে নিতে।
এভাবে ভিজে কাঁপন এল হিয়ার শরীরে। সঙ্গে সঙ্গে থেমে গেল বৃষ্টি। ঘর আবার আলোময়। ভেসে এল জাদুকন্ঠ। লুক হিয়া…
এবার হিয়া দেখল ঘরের একটা দেয়াল অটোমেটিক সরে যাচ্ছে। তারপরেই দেখতে পেল, ওপারে সুসজ্জিত নরম বিছানা। সেখানে কৃশ ওর অপেক্ষায়। ছুটে গেল হিয়া।
খানিক পর। হিয়া আর কৃশ বেরিয়ে আসছে। হাসতে হাসতে। ওদের হাতে ব্যানার-ওয়েলকাম টু ড্রিমটাউন। স্বপ্ন যেখানে ছোঁয়া যায়।
একদম অন্যরকম। ভালো লাগলো।
খুব সুন্দর অনুভূতির গল্প
চমৎকার। দারুণ কনসেপ্ট
চমৎকার