আদুরী জ্যোৎস্না
– সীমা চক্রবর্তী
তোমার ধারায় শরীরে মোমের মতো গলে পড়ে আদর,
প্রতিদিনের এই টানাপোড়েন জীবনে সুখ বলতে তুমি…
অসহ্য কষ্ট আর তার অসহায়তা ঢেকে দেয়
তোমার সলমাজড়ির চাদর।
যখন তুমি ভিজাও আমার দগ্ধ শরীর
তোমার চন্দ্রালোকের প্রবল ঝড়ে——–
আমার সর্বাঙ্গ তখন অজানা আবেগে শিহরিত…
অনাঘ্রাত অঙ্গে প্রত্যঙ্গে জ্বলে রঙমশাল, নিস্পাপ জ্বরে।
জমানো অতৃপ্তিরা খুঁজে নেয় তৃপ্তির সন্ধান…
চাতকীর জ্যোৎস্না পানে বুঝিবা আদিমতা খেলা করে,
জীবনের জটিল অঙ্কের হয় অমিল সমাধান।
এতো কলঙ্ক তোমার
তবু কত নির্দ্বিধায় এক বালার্ক মেঘের সাগরে ভাসলে…
তুমি কি জানো…..
ঠিক কতটা ব্যকুল হয় মন, কাউকে ভালোবাসলে?
তুমি তো ভালোবেসেই আকাশকে চাঁদ-জ্যোৎস্নায় করাও স্নান,
আমার কান্না… আমার আকুতি কখনো শুনেছো কি?
কখনো বাতাসে পেতেছো কি কান?
আমি তবুও তোমাতেই অবগাহন করে যাবো —
জীবনের শেষ বিন্দু পর্যন্ত,
গোপন প্রাণে বেঁধেছি তোমাকে নিষিদ্ধ শরীর উৎসবে,
শিরা উপশিরা বেয়ে তুমি যে ছুঁয়ে আছো দেহ-মনের দিগন্ত।