বৃত্তের ঘেরাটোপ
সুমিতা পয়ড়্যা
বৃত্তটা তো বৃত্তই!
তা ছোটই হোক আর বড়ই হোক।
একটা কেন্দ্রবিন্দু
আর তার পরিধি।
চাইলেও ছোট করতে পারবে না
চাইলেও বড় করতে পারবেনা।
একই কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে,
পরিধি ও একই; পরিসরের দূরত্ব একই
ভেবেচিন্তে চললেও একাই লড়তে হবে
বোতামে চাপ দিয়েই হোক; চাপ বোতামে দিয়েই হোক
বৃত্তের মাঝখানে যতই অবস্থান থাকুক না কেন
কেন্দ্রবিন্দু তুমিই!
দম বন্ধ হয়ে আসে আসুক,
শিয়রে প্রমাদ আচ্ছাদিত
দুঃস্বপ্নের অন্ধকার গোটা বিশ্বকে যেখানে গ্রাস করেছে
সেখানে একটা বৃত্ত বলয়ে থেকে বেশি আর কি করা যাবে!
খবর সত্যি হোক আর মিথ্যে হোক ধনী ধনীই থাকবে;
গরিব গরিবিপনায় বড়লোকই থাকবে।
সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ যখন বৃত্ত বলয় গ্রাস এর শিকার
তখন আমরা তো কোন ছাড়!
রাহু ,কেতু, শনি, অমাবস্যা, পূর্ণিমা সব দশায় আমাদের খুব কাছে।
তাকে অস্বীকার করবে সাধ্য কোথায়!
বাঁচে আর মরো সবটাই ওই চক্রব্যূহে আটকে আছে।
সবাই ঢুকতে জানে, বেরোতে জানে না
বেরোনোর পথ নেই; পথপ্রদর্শক নেই
তাই আর একবার ভেবে চিন্তে রবি ঠাকুরের গানের ভাষায় এগোতে হবে——
“যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে
তবে একলা চলো রে”।