অপেক্ষা
– অতীশ দীপঙ্কর
বার বার আসি কত কথায় ভেসে
তবুও কি তার দেখা পাই!
শিউলির মত ঝড়ে পড়ে সে তাও বড় ভালবাসি!
দখিন দুয়ার খুলেছি সুভাষিত ঘ্রাণ যদি আসে
পুষ্পমঞ্জরী যত্নে রাখি মলিনতার স্পর্শ না পায়
মেঘলা আকাশ অধির মেঘ গর্জন হুংকার
তবু এ মন একাকার।
একাকী নিঃশব্দে কাটে ধ্রুবতারা সীমানায় পাই
অমাবস্যায় ঘুমিয়ে স্মৃতি রোমন্থনে জেগে রই।
কল্পতরুর তরুলতা চুমকি লাগিয়েছে স্বপ্নে দুলে
অসীমে ভেসে নীল জোছনা রক্ত কবরী হাতে
চাঁদের আলিঙ্গনে পাশে এসে বসব!
কামিনী হাস্নুহানা দেখে হাসবে
শুভ্র সাদা কেশ বিন্যাস সে হাত ধরে হোক আমার মহামারী।
বিকেলের আবির রঙে মাখামাখি
সুদুরে বসে খারাপ লাগেনা এ চোখাচোখি
জ্বলে পুড়ে মরার মাঝে সুখ আছে!
না চাইনা!
সে সুখ শুধু তারে ছুঁয়ে যাক আমি যে সুখে আছি
সুখের জানালায় সুবাসিত ফুলের সুবাস
পাশ দিয়ে হেঁটে যাব–
বুকের ভিতর চিহ্নটা অমলিন
কত ঝড় তুফান বৃষ্টিতে দখিন দুয়ার খুলি
বাতাসের মনে কতই গুঞ্জরন!
কামিনী বেলী গন্ধ বিলায়
তবু যেন ভুলতে পারিনা তার শিহরণ!
গুমোট আঁধারে চারিধার ঢাকে
মৌবনে মৌমাছি কথা কয়
জোছনায় ভেসে আকাশ সন্ধ্যা মালতি
গোটায় রাত্রি প্রহর!
জেগে থাকা রাতে শেফালির ঘ্রাণ সুন্দর লাগে
তাও যদি ভোলা যেত তারে!
সুর তাল ছন্দ লয়ে বাজে বীণা
মনে যে কি ব্যথা দেয় মেঘ গর্জন!
খরস্রোতা স্রোতে ছুটে হৃদয় দুয়ারে
অব্যক্ত বেদনা ভেঙ্গে দেয় হৃদয়ও কিনারার ঘাটে!
তবু কি তাকে মোছা যায়!