কবিতা

কবিতা- আসবে সে-দিন—আসবে

আসবে সে-দিন—আসবে
-মানিক দাক্ষিত

 

 

একটু আগুনের ফুলকি দেখে
উল্লাসের দামামা বাজিয়ো না।
শুনতে পাও–কালের অসহ্য মর্মান্তিক কান্না।
অন্ধকারের বুক চিরে পূর্ণিমার আলো ফুটতে
এখনও ঢের বাকী–
সাহসের কৌটোয় প্রাণটাকে বন্ধ রেখে
ততদিন নিজেদের প্রস্তুত রাখি।

তোমাদের হাত থেকে দাসত্বের শেকলটা
খসে পড়লেও মরচে পড়েনি।
অত্যাচারের কড়া চাবুকটার
আস্ফালন থামলেও স্তব্ধ হয়নি।

মানুষের চামড়ায় ঢাকা শয়তানগুলো
মুহূর্তে বহুরূপী—
শক্ত করে চাপতে হবে কেউটের ঝাঁপি।
অনুকূল পরিবেশে যতই খণ্ড বিখণ্ড করো
রক্তচোষা জোঁকটাকে,
অমরত্বে বারবার ফিরবে নিয়ে প্রাণটাকে।
ওদের জীবনীশক্তি কিলবিল করে
বিশ্বের অস্থি-মজ্জায়।

আগুনের ফুলকি দেখে
উল্লাসের দামামা বাজিয়ো না—
যে-কোনো মুহূর্তে ওরা
তোমাদের মস্তিষ্কে দিতে পারে হানা।

তোমাদের ক্ষমতা অসীম–
এক একটা আগ্নেয়গিরি
এক একটা জলপ্রপাত
এক একটা সাইক্লোন
জন্ম থেকে তৈরি আছে তোমাদের বুকের মাঝে।

আসবে—সে-দিন আসবে–
হিমেল হাওয়ায় সবুজপাতা দুলবে
সাগর মাঝে হাঙর কুমীর ছবি হয়ে ভাসবে;
চুনো-পুঁটি মাছগুলো সব বাঁচার মতো বাঁচবে।

যে-দিন ওরা আকাশ থেকে
উল্কা হয়ে পড়বে—
সে-দিন তোমরা আকাশ মাঝে
তারা হয়ে ফুটবে।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page