জলাশয়
-অমল দাস
স্বর্গ বানিয়ে ঈশ্বরের আত্মতুষ্টি হলো না
তৃষ্ণা নিবারণে পরিশ্রুত জলাশয় কাটলেন সেখানে!
নাম দিলেন যোনি…
সর্বৈব সুন্দর জলাশয়ে ঈশ্বর নৌকাবিহারে মাতলেন
হয়তো শরীরবৃত্তীয় উৎসুকেই মর্ত্যে প্রতিনিধি পাঠালেন
সাথে কয়েকটি জলাশয়..
পৃথিবী বিশাল জঙ্গলময় ঘন অন্ধকার
মর্ত্যকীট সীমিত জলাশয়ে গা ভাসিয়ে বংশগতি বাড়ালো
জঙ্গল কেটে বসতি, গ্রাম থেকে নগরের বিস্তার…
গুরুকুল থেকে রাজকুল-
কামুক তৃষ্ণা মেটাতে যে যার মত শক্তি বলে
কোদালের ঘায়ে জলাশয় কেটে খাল বানালো
অতিদ্রুত এই খালে ত্যাগ-তপস্যা-সত্যনিষ্ঠা;
ন্যায়নীতি-অর্থ-সম্পদ ডুবলো!
জমিদার-সামন্ত, রাজ্য-রাজত্ব, শেষে রাজা-ঋষিও ডুবে গেলো
আমরা থেমে যাইনি একই স্রোতে ভেসে এগিয়ে এলাম
এখন প্রযুক্তি -বিজ্ঞান -জ্ঞানে আধুনিক
খালে চাহিদা মিটবে কেন…
অনবরত অকাল বর্ষণে বীর্য প্লাবনে রাশ টানতে-
ড্রোজার লাগিয়ে আয়ত্ত্বের খালগুলি নদী করা হচ্ছে!
কেউ সাঁতার কাটছে, কেউ জাল ফেলছে…
ত্রিবেণী সঙ্গমে যৌন-স্নানে, মাথা-দেহ, বোতল–ড্রাম সবই ডুবছে,
ডুবছে আরও কত কি…
সাধারণ থেকে নেতা ডুবছে, রাজ্য থেকে দেশও ডুবছে…
কতেক পাঁকের মধ্যে হাতড়াচ্ছে নদীর পেটে রত্ন খুঁজতে…
একদিন নদীর সমুদ্র উত্তরণের পথে পৃথিবীর ধ্বংস হবে।
ঈশ্বরের কৃপা হলে পুনর্জন্মে ভাসবে আহুত-অনাহূতের বীজ
কেউ কুন্তী গর্ভে কর্ণ হবে, কেউ গঙ্গা পুত্র ভীষ্ম
অথবা ধর্ষিতার বেজম্মা..