সিক্রেট
– সুজিত চট্টোপাধ্যায়
পর্ব-২
বিকেল পড়ে আসছে। পশ্চিম দিগন্তে তারই রক্তিম আভাস। প্রিন্সেপ ঘাটের ধারে সাজানো বেঞ্চগুলো, প্রেমের আকুলতায় আচ্ছন্ন। একাকী যুবকটির হাতে কোল্ড ড্রিংকের খানিকটা শেষ করা বোতল। ওতে ভদকা মেশানো আছে। যুবতী আসবে। কথা সেই রকমই আছে।বোতলের আংশিক পানীয়ও তারই অপেক্ষায়।
গঙ্গার ঠান্ডা হাওয়ায় নেশা আরও গাঢ় হয়।বোতল খালি হয়ে গেছে। যুগলপ্রেমের আসক্তি অন্ধকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আরও ঘনীভূত। নেশা লজ্জা কেড়ে নিচ্ছে, বাড়িয়ে দিচ্ছে উন্মাদনা।
একটু পাশেই, চুড়ান্ত এলোমেলো দুর্বার ঘনিষ্ট আরও দুজন। যুবক যুবতী। একজন বড্ড চেনা। পুরুষ।
যুবতীর নেশায় ভাটা পড়া বিস্ফোরিত চোখ। ওদের পাশেও খালি হয়ে যাওয়া কোল্ড ড্রিংকের বোতল।
আলগা হয়ে গেছে, সেই কবেই, সাত পাকের বাঁধন।
মাঝ গঙ্গায় অন্ধকারে ভেসে যায় ডিঙি। টিমটিমে আলো আঁধার ঘোচাতে পারে না। চেনা অচেনার দাঁড় বেয়ে সময় বহে যায়। পুরাতন প্রেম, ঢাকা পড়ে না। সাজানো সংসার সাজে কৃত্রিমতায়।
রাতের ডিনার টেবিলে কষা মাংস, পরোটা। নিদারুণ পরিতৃপ্তির মুখোশ। দারুণ রেঁধেছো মাংসটা। জবাব নেই।