অন্ধকারে আলোর খোঁজ
– মঙ্গল মন্ডল
সব শুনতে পাই, সব দেখতে পাই
ওই তো আবার চিৎকার করে কারা বলছে,
জবাব চাই জবাব দাও ….
কাদের জন্য কি জবাব চাই তা জানা হল না,
কিন্তু পথের শিশুটা এখনও কাঁদে,
তবে অনাথ যখন কেঁদে আসে যায়,
কে তার জবাব চায়?
আমি শুনতে পাইনি কত বাক্যের নির্মম পরিণতি,
তারা নীরবেই বিদায় নিয়ে চলে গেল,
তুমি তো বোবা আমি অন্ধ ও কালা,
রাজনীতি যখন পা চাঁটতে বলে
সবাই সুস্থ হয়ে ওঠো নির্লজ্জভাবে,
আর তখনই তারা খুঁজে বের করে
বনে জঙ্গলে পড়ে থাকা লাশ;
হয়ে যায় রাজনীতির ব্যবসা মরা দেহটা।
জনগণেরা তো মিথ্যা চিৎকারেই
উত্তেজনায় রেগে ফুঁসে ওঠে;
মেয়েটা অন্ধকার দেখে ভয় পায়,
তা তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই,
খবরের কাগজ সাধারণ জনগণ ততক্ষণ চুপ,
কেউ তাকে আলো দেখাতে সময় পায় না।
সবাই ব্যস্ত জড়তায়।
আর অন্ধকারটা তাকে ছিঁড়ে খেয়ে
বাতাসে চিৎকারের শব্দগুলো মিশিয়ে বিলীন করে
তখন জনগণ নিদ্রায় আচ্ছন্ন,
তুমিও তখন কানে তুলো দিয়ে নাক ডাকতে ব্যস্ত।
তবে রাজনেতাদের এক একটি ভন্ডামীতে
যখন অগণতি লাশের একটা লাশ
ভোটব্যাঙ্ক হয়ে ওঠে
তখন তুমি রেগে ওঠো,
ভাবো সত্যি কত অন্যায়,
রাগ তো তোমার স্বাভাবিক।
তুমি দোষী নও,
তোমার ঘুম-টা বড্ড দোষের,
মেয়েটা আজও অন্ধকার দেখে বড্ড ভয় পায়;
সে রোজ আলো খোঁজে।