বুদ্ধত্বের সন্ধানে
-অমল দাস
বাল্যের দুরন্তপনায় এক প্রিয় কন্থক প্রয়োজন ছিল
যার পিঠে চড়ে পাড়ি দিতে পারতাম সিদ্ধার্থের পথে
সে আর আমার পিতৃকুল হতে উপহার স্বরূপ আসেনি
বংশের রাজ্যপাট ছিল না..
অষ্টম ব্রাহ্মণের ভবিষ্যৎ নিরীক্ষণও হয়নি…
পদব্রজে নেমেছি, অনতি দূরেই থেমে গেছি
থেমে গেছি অশ্বত্থ গাছটির তলে
অশ্বত্থ গাছটি তখনও শত বছর ধরে অপেক্ষায়,
জানি না কার!
তার সর্বাঙ্গে অপেক্ষা মুদ্রিত আজও
আমার শৈশব, কৈশোর, যৌবনের মধ্যপন্থার দিন যাপন
এই বৃক্ষতলে।
একে একে স্বজন বিমুখ হয়েছে এই পথে
পরমান্ন আহার পাইনি তখনও…
বৃক্ষ তলেই আমি বুদ্ধত্বের সন্ধানে;
এখানেই শ্রান্তি, আধ্যাত্মিক ধ্যান, জ্ঞান লাভের প্রয়াস
… আজও বোধিসত্ত্ব লাভ হলো না!
বোধিবৃক্ষ হয়ে ওঠেনি আশ্রয়ের এই অশ্বত্থ!
প্রতীক্ষায় থাকে অশ্বত্থ, প্রতীক্ষায় আমি…
উপলব্ধির প্রহরে অপেক্ষা শুধু সুজাতার…
সুজাতা আজও পায়েসের বাটি হাতে, আসেনি অশত্থ তলে।
অন্তরে আলোড়িত সুর ‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি…’
আবাল্যের ইচ্ছে, চাওয়া-পাওয়ার সুমধুর প্রকাশ, মুগ্ধতা রেখে গেল মনে।
ইচ্ছেরাই কবিতায় ব্যক্ত হয়ে ওঠে আর তা যখন পাঠকের মন ছুঁয়ে যায় সেই প্রাপ্তি অদ্বিতীয়।
খুব ভালো একটি লেখা
ধন্যবাদ আপনাকে