অপঘাত
– অতীশ দীপঙ্কর
বেশ ভালো ছিলো, গেলো শরতের ভোর রাতে-
শিশিরের টুপটাপ শব্দে কুয়াশা ঘেরা আকাশ!
শিউলির চুপচাপ নিঃশব্দ কবিতার জোয়ারে ভোর
নতুন সকালে দুর্জয় আনন্দ নিজ বৃত্তের বাতাস!
গভীর অভয় অরণ্যের একরাশ স্থিরতা শান্তির কথাকলি;
বর্ষা শেষের দু’কুল ছাপানো টৈটুম্বুর নদী।
প্রতিটি অক্ষর মৃত দুপুরে ফেরা বাউলের সুরে
হৃদয় নিঙড়া’ন আবেগ তুলির চিত্র,
হঠাৎ-ই কড়া নাড়তে নাড়তে কবিতায় এসেছিল
নৃত্য পটিয়সী খলখল গোলাপী গোধূলি যৌবনা ধ্যান ভাঙানো মিত্র।
সমাদরে নিতান্ত ভদ্রতা রেখে বিনয়ে সমস্ত সরলতা উজাড় করে
বললাম বিবশ অথচ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে
“শো’ন চুপ করে আমার লেখা কবিতাগুলো
শোনো চুপ করে আমার কথাগুলো!
হে কবি তুমিও শোনাও তোমার কথা!
কি করে তোমার কথায় ভরে যায় আমার কবিতা!”
তখনই বর্ষার অতি প্রবল ধারা অঝোরে আমার কাছে;
একেবারে অন্দর-মহলে ঢুকে নিঃশব্দে
চুপিসারে সজোরে ভেজালো আমার সমস্ত শব্দ!
ফুল ফোটার মতো না থাকা নীরবতায় হঠাৎ এলো আগাম বসন্ত!
কেবলই পলাশের রঙের মতো আনন্দ রাহুগ্রাসে পিষ্ঠ সমস্ত শিরা ধমনী জুড়ে;
এক নিমেষে আকাশটা নিয়ে গেলো সীমানা ছেড়ে!
হৃদয় জুড়ে অনির্বাণ স্রোতে অপ্রকাশিত শব্দ পুড়ে যায় অথচ আমার সময় পথ হারা!
যা ছিল দিয়েছিলাম বিশ্বাসে একান্তে তবুও সুযোগে ভালোবাসা রেখে গেলো কবরের আস্থা!