রাতের রক্তে স্বপ্ন ধরি..
-অমল দাস
দূর থেকে এক হাকার এলো
কেবল ‘আ’ কারটাই কানে গেলো,
আসল কথা পথে পথেই শেষ।
সেই যে আমরা কোথায় ছিলাম
এখনই বা কোথায় এলাম,
সমুখ-পানে দৃষ্টি অনিমেষ।
দৃষ্টি দৃশ্যে রঙের ছায়া
মোহ মায়ায় লিপ্ত কায়া,
ঘোর কাটাতে কাটে কতেক দিন।
ছুটছি সবাই ছুটছি মোরা
বাঁধন ছাড়া পাগলা ঘোড়া,
মিটিয়ে যেতে এ জনমের ঋণ।
আকাশ ধূসর মেঘের মেলা
কতেক ঘুড়ি করছে খেলা,
কতক প্যাঁচে হারাচ্ছে তার লেজ।
আবার বদ্ধভূমে জাগবে তৃণ
মিটবে না সে কোনো দিনও,
সইতে রাজি রৌদ্র প্রখর তেজ।
শেষ দিগন্তে সাঁঝের রেখা
নেই কো প্রদীপ, যায় না দেখা
শঙ্খ নিনাদ সমাপ্তি সুর গায়।
মাঠের মাঝে উড়িয়ে ধুলো
ধুলোয় ঘেরা পোষ্য-গুলো,
আপন মনে ঘরের পানেই ধায়।
মাতাল হাওয়া লাগলো পালে
ছল-ছলা-ছল নদীর জলে,
দুই পাড়েতে নৌকা ডুবির ডর।
ভয় নেই আর নিঃস্ব চালার
গাছের মাথাও জাগবে আবার,
আসে যদি আসুক না হয় ঝড়।
ঝড়ের পাখি চোখ রাঙালো
ব্যাধের তিরে প্রাণ হারালো,
ঢাকলো আঁধার সিঁদুর মেঘের লাল।
আমরা হঠাৎ থমকে পড়ি
রাতের রক্তে স্বপ্ন ধরি,
নতুন সূর্য নতুন প্রভাত কাল।