বোধন
– অতীশ দীপঙ্কর
কাঁচা দেওয়ালে যতটা সম্পর্ক ততটাই ইচ্ছেমতি!
দুপুরের কলরব থামাতে নাভির চারপাশ ছুঁয়ে
নিজেকে ঢেলে দিয়েছিলাম উনুনে
আগুন পোহানোর ছুঁতোয়!
বারবার ভালো লাগে না ভালোবাসি বলতে!
বারবার দাবী আদায়ে ঝোলাতে হয়নি ডেপুটেশন;
ভালোবাসাটুকু আসলে আমার নামমাত্র সম্বল।
দগ্ধ শরীরে ফালি ফালি কাঠ সাজিয়ে
মুহূর্তে হয়ে উঠেছি ঈশ্বর-পুরুষ!
যতই পাঁজরে কব্জি ডুবিয়ে নোলক চুবিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছে!
আমিও মাথা মোছার ভান করে গরম সুখে মুখ রেখেছি!
নোঙর আটকে বুঁদ হয়ে ডুবেছি দামোদরে!
আজ বড় আড়ষ্ট লাগে শরীরের ভাঁজে!
নরম তলপেটের স্বাদ তরল বিষ, লেগে আছে জিভে!
সকালে চুল টেনে জানান দিত রাতের দাগ খতিয়ান!
পুরু ঘষা-কাঁচের জানলার ধারেই
কাঁচা রক্ত পড়েছিল একদিন বিছানা জুড়ে!
সকালে উঠে বারবার মনে করতে চেয়েছিলাম
রাতে কপালে চুমু খেয়েছিলাম কিনা!
অতঃপর ক্লান্তি হলো আমাদের একমাত্র আগামী!
তবুও জাদুকর খেলা দেখায় হাতের মুঠোয়
শেষে জানিয়ে দেয় সবটাই খেলা!
একমুঠো রজনীগন্ধা প্রেমে তাও ঋণী হয়ে আছি!