হাসি
– শচীদুলাল পাল
হাসি এক অন্তর্নিহিত সম্পদ অমূল্য,
কোনো বিনিময়ে হয়না তার সমতুল্য।
মহামূল্য সম্পদ হাসি বেচে দি সস্তায়,
হারাধনের মতো খুঁজে ফিরি আর পস্তায়।
মন খারাপ করে মনমরা হয়ে থাকি পড়ে।
তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়ে মন যায় ভরে।
আপনপর সুখে থাকায় চায় হাসি আনন্দ
বদলে কলহ সেইস্থানে করে নিরানন্দ।
নৈসর্গিক হাসি আনন্দ ঈশ্বরের দানে।
নিমেষে উবে যায় অন্যের কথার বাণে।
রোগ যন্ত্রণা মনোবেদনা সারে হাসিতে,
রোগনিরাময় দীর্ঘজীবন পায় খুশিতে।
উপহাস দ্বারা করা যায় অন্যকে অপমান,
প্রতিবাদে জবাব, ‘একটু মজা করছিলাম। ‘
হাসি থাকবে অনন্তকাল দেবনা ম্লান হতে।
সযত্নে রাখবো , হারাবোনা প্রাণ থাকতে।
আত্মা মানে কুটিলতা বিহীন সরলতা,
হাসি আনন্দে ভরপুর নেই কোনো জটিলতা।
আত্মার ধর্ম অনাবিল ছন্দ স্নিদ্ধ শান্ত।
দয়া করুনা বিশ্বাস আস্থায় স্পন্দিত।
ভুবনমোহিনী হাসিতে পুরুষেরে আকর্ষণ
নারী পদদলিত করে রাখে সারাজীবন।
মুচকি হাসিতে বুক করে হ্যাঁচোড়প্যাঁচোড়।
অনিদ্রায় কাটে সারারাত হয়ে যায় ভোর।
দলবেঁধে নারীর হাসির হিল্লোল কলকল।
দেঁতো হাসির কৌতুক নকশায় অভিনয়ে ছলছল।
রিরংসার হাসি ঈঙ্গিত গভীর অতল।
শীৎকার ধ্বনির হাসি প্রাকৃতিক নাই তার তল।
শিশুর হাসির সারল্যে মায়ের আনন্দ।
তুলনাহীন মায়ের হাসি চির চিদানন্দ।
কিশোরীর হাসি ফুলসম নিষ্পাপ সরলতা।
প্রেমিকের হৃদয়ে আজীবন সঞ্চয়িতা।
হাসি সংক্রমিত রোগ, ছড়ায় জন থেকে জনতা।
সংক্রমিত হাসিতে আবালবৃদ্ধবনিতা।
অট্টহাসিতে ভয়ার্ত রাতের নিঃশব্দতা।
ভূতের হাসিতে হাসে রাতের প্রেতাত্মা।
পরকীয়ার হাসি খিলখিল চিরকাল
কর্তাগিন্নির হাসি বড়োই বিরল আজকাল।
যাত্রাশিল্পীর হাসি ছিল সেকালে অতুলনীয়
অভিনয়ে যাত্রাপালার হাসি অকল্পনীয়।
ডাক্তারের নিধানের পরও রোগী প্রাণ ফিরে পায়,
পরিবারের হাসি আর আনন্দে ভরে যায়।
যুদ্ধ বিজয়ে সেনাপতির হাসিতে।
বিয়ের পর পুরানো প্রেমিকের সাথে সাক্ষাতে।।
ঈশ্বর দর্শনে হাসি আনন্দ সর্বত্র।
ষটচক্র ভেদ করে পৌঁছায় আজ্ঞাচক্র।