পুরুষ কার!
-জিৎ সাহ
(১)
অভীকটা বড্ড আজব ধরনের একটা চরিত্র। মাথার ভেতর কি সব আজগুবি চিন্তা ভাবনা নিয়ে যে ঘুরে বেড়ায় তার ঠিক নেই। উৎপটাং সব কথাবার্তা। এই নিয়ে মাঝে মাঝেই নিজের বৌ থেকে বন্ধুবান্ধব সকলের কাছেই একটা জোকার জোকার ইমেজ তৈরি করে নিয়েছে। অবশ্যই নিজের অজান্তেই। এই ইমেজ টিমেজ নিয়ে তার বিশেষ হেলদোল দেখি না। যদিও ভেতরে ভেতরে সে বেশ রগচটা বলতে পারেন। সে নিজেও কিছুটা হলেও তার এ ধরনের ক্যারেকটার নিয়ে চিন্তিত।এই ভালো তো এই খারাপ। তার সত্বেও তার ঐ আজগুবি চিন্তা ভাবনা গুলো সকলকে একরকম মাতিয়ে রাখে। এই যেমন বন্ধুদের নিয়ে ফুচকা খেতে খেতে হঠাৎ তার মাথায় এল_আচ্ছা! এই ফুচকা তে জলের বদলে যদি মদ গেলে খাওয়া হত, তাহলে কেমন হতো, বলত?
অথবা, র-টী বদলে মদের সাথে চায়ের লিকার বানিয়ে খেলে কেমন হয়!
অথবা বৌ বাচ্চা নিয়ে খেতে বসেছে। হঠাৎ, আচ্ছা সজনে ডাটার আঁচার, শুটকি মাছের আঁচার, গুগলি পোস্ত আর মুড়ি, পটলের চাটনি, কচু পোস্ত-র মত আজগুবি সব রেসিপি। এই অশান্তি যে একটু আধটু হয় না তাই নয়। তবে তার ঐ পর্যন্তই…
(২)
ছেলেবেলায় ভাবতাম বিয়ে করব না। বিয়ে টিয়ে আবার কেউ করে নাকি! ওসব করলে মা’র থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে। মা যখন কথায় কথায় বলত এবার দেখে শুনে অভি’র জন্য একটি ফুটফুটে বৌ এনে দেবো। তাই শুনে অভি’র সে কি রাগ। রেখে টেগে একধারে গিয়ে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকত।
(৩)
আজ সেই অভীক আর ছোট্টটি নেই। তবে তার উৎপটাং ভাবনা গুলোর বয়স কিন্তু একদমই বাড়েনি। তাছাড়া এই বিয়ের বাসর রাতে বৌকে নিয়ে এমন চিন্তা করে কেউ আনকম্ফোর্ট ফিল করে! বদ্ধ ঘরে সে আর তার নতুন বৌ। এছাড়া তৃতীয় প্রানীটি আর কেউ নেই, এমন সময় সেই জানি না চিনি না বৌ যদি রনচন্ডী রূপ ধারণ করে। যদি খড়গহস্ত হয়ে থাকে অ্যাটাক করে বসে। তার সঙ্গে আর ক’দিনের-ই বা পরিচয়!
গল্পটা আর একটু গুটি গুটি পায়ে এগোলে ভালো হতো।