হেমন্তর বর্ণনা
– রাখী চক্রবর্তী
শরতের শেষে আসল হেসে
হেমন্তের সকাল।
হাল্কা হাওয়ায় গঙ্গা বক্ষে
মাঝি তোলে পাল।
আহা, গেঁদা ফুলের বাহারে
কেমন ভরে যায় বাগান ,
হৈমন্তীর চেনা সুরে শুরু পাখিদের কলতান ।
হাল্কা শীতের চাদর মুড়ে
দৈ ওয়ালা পাড়ে হাঁক,
ঐ দেখো, দীঘির জলে খেলা করে রাজহাঁস এক ঝাঁক।
রোদের কিরণ বড় শান্ত হেমন্তর দুপুরে
শুনছো ! কোনও এক রুবি রায়
সুর তোলে নুপুরে ।
প্রেমিক প্রেমিকা ভিক্টোরিয়া স্বপ্ন কতো দেখে
কেউ বা আবার আলিঙ্গনে মত্ত
ফুলের রেণু মেখে ।
হেমন্তের বিকেলে চাষীরা ঘরে আনে সোনার ফসল,
গোধুলি বেলায় ঘরে ফেরে কাক, চড়ুই শালিকের দল।
হেমন্ত কালে ঘরে ঘরে চলে নবান্নর উত্সব
স্নেহ প্রীতি ভালবাসায় আবদ্ধ হয় পরিবারের সব।
হেমন্তের রাতে ঠাণ্ডার আমেজ কার ঘুম কাড়ে
কে জানে?
শীতের পারদ মাপা যায় শুধু
ভিখারির কম্পনে ।