যদি বলো
– সীমা চক্রবর্তী
যদি বলো, এখানেই থেমে যাবো আমি,
হৃদয়ের কাকচক্ষু সরোবরে
সাঁতরাবো না আর
এঁকে নেবো তপ্ত মরু – চর
কাজল হীন চোখের এপাড় ওপাড়।
যদি বলো, কষ্টগুলো কে চির নির্বাসন পাঠাবো,
দগদগে যন্ত্রণার কবিতা লিখবে না কলম আর
জ্যোৎস্নার মতো মিঠে নরম সুখ জড়িয়ে বুকে
জীর্ণ ক্যানভাসে জীবন্ত হোক
মন রাখা ভালোবাসার।
যদি বলো, বেয়াদব ইচ্ছেদের ছেঁটে দেবো ডানা
সব সাদা পালক মেঘের মতো ঝরিয়ে দেবো,
বিন্দু বিন্দু জমা রক্ত শুষে নেবে ঠোঁট
অবাধ্যতার নগরীতে হোক ধ্বংসাত্মক সন্ত্রাসী হানা।
যদি বলো, দূরত্ব টা রাখবো না আর আমাদের মাঝে,
মুখোমুখি…শুধু চোখে চোখে কথা হোক,
ভুলে যাবো আদিম মৃত্যু শোক।
আয়নার বিম্বে ছায়া – কায়ায় যতটা ফাঁক
আমাদের নিবিড়তাও ঠিক তেমনটাই থাক।
যদি বলো, কিছুটা ভালোবাসা এখনো বাকি…
তবে পুরনো ব্যথার ঘূণে রাখবো না ঢাকাঢাকি।
যখন প্রবল শীতে চাঁদ যায় গলে
নীল জ্যোৎস্না মরে সবুজের হলাহলে,
কিছু ক্ষণিকের আহ্লাদে
চিৎকারে জানাবো ঝুঁকে পড়া বুড়ো পৃথিবীকে —
যা চেয়েছি… পেয়েছি এই অবেলায়,
ভানুমতীর খেলায়…
অভিমান পুষে কত আর চুপ করে থাকি।