হে ঈশ্বর
– তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়
হে ঈশ্বর,
একটা খোলা আকাশই তো চেয়েছিলাম আর
চেয়েছিলাম তার নীচে নিশ্চিন্ত আশ্রয়।
এক থালা গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতই তো চেয়ে ছিলাম ঈশ্বর।
এক থালা সাদা ভাত।
জ্যোৎস্না মাখা একটা জীবন…বৃষ্টিমাখা শান্ত দিনই তো চেয়েছিলাম ঈশ্বর।
আমিতো কাঙাল হতে চাইনি।
চাইনি গৃহহীন উদ্বাস্তু হতে।
চাইনি ভুখা পেটে হাত পাততে।
আমি তো ধর্ম চাইনি, চাইনি হানাহানি, অনিশ্চয়তা।
আমি তো রক্তাক্ত হতে চাইনি, চাইনি আগুন দেখতে।
হে ঈশ্বর,
তুমি কি নিরন্ন মানুষের চোখের জল মোছাবে না?
ঘোচাবে না তার অভাব,দারিদ্র?
তোমার কাছে কিছুই কি চাওয়ার নেই আমাদের?
খুব কী অন্যায় হ’বে যদি তোমার কাছে চাই–
প্রতিদিনের কাজের নিশ্চয়তা।
প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের আশ্বাস।
মাথার উপর ছাদ।
শিক্ষার,স্বাস্থ্যের, সুচিকিৎসার নির্ভরতা।
শ্বাস নেওয়ার বিশুদ্ধ বাতাস আর প্রাণভরা শান্তি।
তুমি দেবে না ঈশ্বর?
অপূর্ব। এই মুহূর্তে একেবারেই প্রাসঙ্গিক কবিতা টি।
দাদা,প্রাণিত হলাম🙏
অপূর্ব সুন্দর লাগলো দিদিভাই