বন বিতানে আমি ও বনলতা
-দীপঙ্কর বিশ্বাস
তুমি আমার সেই অধরা
আজই প্রথম কাছাকাছি আসা,
কল্পনা আর ইচ্ছে নিয়ে তোমায় ছুঁয়ে দেখা
প্রথম সংস্পর্শে আমার; তোমার শরীর মন রূপ যৌবন রাখা।
রাত জাগা রতি উষ্ণ অধীর ভালোবাসা
শীত বিছানায় বন্দি,
তোমার ঝড় তোলা শরীর হঠাৎ আজ
আমার বল্গাহীন বিকেলের সঙ্গী।
কত সম্পর্ক আমার গেছে ভিনবাড়ি
তাও মরণ সুখে তোমার ঘরে আমি!
তুমি আমার আস্ত এক বাড়ি
বনলতা তোমায় সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি!
আমার থমকে যাওয়া সময়
এখন ভরসা মেঘমন,
ঠিকানাটা বদলে নিলাম
তুমিই আমার মন।
হয়তো একটু দেরি করেই
আজই আমার ঘুম ভাঙল–
হাত ঘড়িটার সময় নতুন
ঘড়িটা যদিও বেশ পুরানো।
তোমার হরেক রঙের দুয়ার–
নীল লাল সাদা সবুজ
হরেক ফুল ঝাড়,
যে কো’ন ফুল ভালবাসি আজ
তোমার এই গন্ধে মজেছি।
মজে যাওয়া নদী খাতে ফেরে না বসন্ত,
হেমন্তর ভোরে কোকিলের সুরে শুনি
তবুও ছন্দ অনন্ত !
আমার দুমড়ে যাওয়া সময় আর ভালোবাসা
এই একরাতের স্মৃতির নৌকা।
মুহুর্ত সব বয়ে নিয়ে —
ভেসে যাব ভেসে আসব আবার একা!
ফিরে ফিরে তোমার শরীর ছুঁতে,
তুমি আছ শীতের পরী সেজে!
বৃষ্টি আমার ভালোই লাগে!
তোমার ধারা থমকে কে’ন আছে!
সবুজ পাতার বৃষ্টি দিও ডেকে!
ক্ষুধার্ত এক পুরুষ আমি —
নিও ঐ টলটলে ঝিলের বুকে
স্নানের ঘরে টানি।
মায়ার ডোরে বাঁধলে কনকলতা!
তোমার জন্যে আমার ভালোবাসা–
হাত ছেড়ে হাত দিলাম তোমার হাতে,
সঁপেছি বনলতা
নিজেকে তোমার কাছে।