কবিতা

কবিতা- রক্ত গোলাপ ও অনুপমা

রক্ত গোলাপ ও অনুপমা
– অমিতাভ সরকার

 

 

সেদিন সমুদ্রসৈকত ছিল,
মেঘ ছিল..টিপ টিপ বৃষ্টি।
উতল হাওয়া ছিল,
ছিল শেষ না হওয়া কত কথা।
সমুদ্রে ঢেউ ছিল, ঢেউয়ের পর ঢেউ,
সেদিনও সন্ধ্যা নেমে ছিল,
আকাশে উঠেছিল দুধ সাদা চাঁদ।
তোমার হাত দু’টো কত মোলায়েম ছিল,
তোমার কথা ছিল ঝরে পড়া তারার মত।
তোমার কথা শুনতে লক্ষ্মীপেঁচা এসেছিল,
সেদিনও শরৎ পূর্ণিমা ছিল আজকের মত।

একটা সময় ছিল, পাহাড়ের ঢালে কমলা তলায় বসে একাকী তোমাকে দেখতাম।

তুমি, হ্যাঁ তুমি ঝর্নার মত নেমে আসতে আমার চোখে অশ্রু হয়ে।

মনে হতো তুমি কত দূরে চলে গেছো, কোনূ এক অজানা দেশে।

তুষার ঝরে পড়লে মনে হতো তুমি আমাকে জড়িয়ে আছো।

টুপ করে একটা কমলালেবু কোলে এসে পড়লো, হেসে বললো কিসের দুঃখ ?

এইতো আমি তোমার কাছে। সত্যিই আমি সেটাই গালে চেপে ধরে তোমাকে অনুভব করতাম।

দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পর আজ আবার কোজাগরী এসেছে।

চরাচর ভেসে যাচ্ছে চাঁদের আলোয়। আজ নদীরপারে প্রাণহীন শরীরে আমি।

অনতিদূরে প্রস্তুত গোলাপ কাঠে তৈরি চিতা। ধীরে ধীরে নিয়ে শোয়ানো হবে সেখানে।

প্রজ্বলিত হবে সেই চিতা। তারপর পঞ্চভূতে বিলীন হব আমি। অনুপমা তোমার প্রিয় ছিল গোলাপ। সেই গোলাপ কাঠেই আমার চিতা তৈরি করিয়েছিলে।

শেষ সময়েও আমাকে জড়িয়ে রাখলে তোমাতে।

 

Loading

3 Comments

Leave A Comment

<p>You cannot copy content of this page</p>