পারানি
-রীণা চ্যাটার্জী
একদিন এইভাবেই থেমে যাবে সব
মিটে যাবে দেহ-মনের সকল কলরব
ক্ষণিকের সংগ্ৰাম, জীবনের জয়গান
ফেলে যেতে হবে- আছে যত পিছুটান।
নিথরতার শীতল হাওয়া বয়ে আনে অনুভূতি
সম্পর্ক সব গেছে মুছে.. কন্যা-পুত্র, নাতি-পুতি।
পায়ে চলা শেষে, ছেড়ে যাবে মেঠো পথ
সর্পিল কালো ধোঁয়ায় মেলাবে দেহতট
কবে-কোথা, ধর্ম-কর্ম.. মৃত কলা-কোষে
সুদ-মুলের অন্বেষণে হিসেবের অঙ্ক কষে।
আত্মা-জন্মের ব্যবধানে নগ্ন বেসাতি ঝোঁকে
উপাচারে-উপাদানে, জীবিতরা বৃথা শোকে..
হয়তো অচেনা-অজানা এপাড়ের প্রিয়জন
চলে গেছে যারা ওপারে, হাত বাড়াবে তখন?
আত্মহারা হবে কি আবার ফিরে পাওয়ার হেতু..
বুনবে বসে, অগোচরে পুরোনো সম্পর্কের সেতু!
নাকি শুধুই ফাঁকি! হাতছাড়া সুতো কাটা ঘুড়ি
আসলে ধোঁয়া আর ধূলোয় মিছে ওড়া-উড়ি..
লোক-তত্ত্ব দেহাবশেষের সাথেই গেছে ছেড়ে
তবু শুনি, পারানি’র ভীড় লাগে বৈতরণী তীরে।
জীবন দর্শনের এক গভীর মর্মকথা গেঁথে তুললেন লেখনীতে। চরম সত্য তবু ভালো লাগলো কবিতার প্রতিটি লাইন।