অসম লড়াই
– সঞ্জিত মণ্ডল
গরীব কৃষক লড়াই করবে করপোরেটের সাথে!
কি মনে হয় স্বপ্ন দেখছি দিনে কিংবা রাতে।
শিক্ষিত নয় দেশের চাষি সিধা অন্তরটাই,
অবরোধ আর আন্দোলনে দিচ্ছে তাও কেমন লড়াই।
সরকার আর বাধ্য নয়কো ফসল তাদের কিনে নিতে,
ওসব করবে করপোরেটরা আইন হয়ে গেছে দেশে।
চুক্তি চাষে করপোরেটের দালাল যখন বলবে এসে,
মুখ বুঁজে তাই মানতে হবে নীলকর ফিরে এলো দেশে!
নয়া আইন গালভরা নাম চাষির মূল্য নিশ্চয়তা,
চাষির জীবন মূল্যহীনই করলে তুমি শাসক ভ্রাতা।
করপোরেটের দালাল সাথে কৃষক করবে নতুন চুক্তি,
মার ঝাড়ু মার পাচ্ছে হাসি কালাকানুন কতো ভক্তি!
পাড়ার গরীব পশুপতি ভাগ চাষির সেই কাজটা করে,
তার কি সাধ্য পকেটের জোর হাইকোর্ট যায় লড়াই করে।
দুবেলা যার ভাত জোটেনা তার উপরে বুকের ব্যামো,
লড়াই করার পাঁজর ভাঙা কোমর ভাঙা নাক থ্যাতলানো ।
মুক্ত স্বাধীন কেনা বেচা তারাই জেনো করতে পারে,
যাদের পেটে বিদ্যেবুদ্ধি পুঁজির জোরও বছর ভরে।
কৃষকেরা নেহাৎ বোকা কিচ্ছু বোঝে নাকো তারা,
নিপীড়িত অন্নদাতা কেঁদে মরে দিশাহারা।
লক্ষ কোটির তবিল লুটে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছেটা দেশ,
তাদের বেলায় ঋণ মকুবের খেলা দেখি জমেছে বেশ!
গরীব চাষি সারা দেশে ঋণের ভারে দুমড়ে মরে,
বীর বাহাদুর মন্ত্রী নেতা সেই বেলাতে চুপটি করে!
মিথ্যে কথার ফুলঝুরিতে গণতন্ত্র শুধুই কাঁদে,
দৃষ্টি ঘোরায় মিথ্যে খবর যুদ্ধ বুঝি এবার বাধে।
দেশদ্রোহী দেগে দিয়ে যতই তুমি জেলে ভরো,
অন্নদাতা উটছে জেগে দেখি কে সামলাতে পারো।
কি দারুণ দিন এসেছে আজ আগে নাকি কেউ দেখেনি,
সবাই নাকি ঘি খেয়েছে দাম মেটাতে কেউ শেখেনি!
যারা অন্নদাতার অন্ন কাড়তে চাইছে ভুল বুঝিয়ে,
বুঝবে তারা দুদিন পরে ঝাড়ে বংশে লোপাট হয়ে।