দাম্পত্য ও——
-অতীশ দীপঙ্কর
সেলাই করা জোড়া তালির তাক
তাও সেই বারেবারে
দ্বায়বদ্ধতার বদ্ধমূল বাঁক!
দেখলাম মেয়েটিকে শেওড়া গাছে
সকাল থেকে রাত আদ্যপ্রান্ত খাটছে
মেয়ে সন্তুষ্টি চায় কলুর কাছে!
আকাশ রাঙানো পলাশ আগুন দাগে
দুগ্ধবতী গাইয়ের মতো ভালোবাসা!
ও মেয়ে তোমার গায়ে লেগে
ভালোবাসা করছে তামাশা!
সব ত্যাগের সজ্জায় আঁচলে গিঁট এক কোণে!
নক্সীকাঁথা স্বপ্ন সেলাই কাজের কোলাহলে–
সুঁচের আঁল করাল বাহাত্তুরে,
রোদ্দুর?
সুখগুলো উল্টেপাল্টে দেখো
আলোর ভাষা যদি পড়তে পারো
তবে ভাঙতে পারলে ভাঙো!
শেকল বাঁধা যে পায়ে—
দিয়েছ নিজেরে উড়িয়ে শিমুল তুলোয়?
দুপুর?
মুখ লুকোয়
কালো কালো মেঘের পরে।
উড়ে যায় ভেসে ভেসে বিকেল হৃদয় খুলে
সবুজ সবুজ টুকরো কাগজে লিখে।
এখনো তুমি বিবর্তনের পথে
গুহার অন্ধকার থেকে আঁধার ঘরে।
এ কুটিল সভ্যতা মানুষের মতো
তাই মানুষের হাতে।
কোন একমুহুর্ত আসে হঠাৎ প্রশান্তি !
যন্ত্রকে হারিয়ে জলের মতো মেয়েটি–
সারা শরীর আর মুখে দাগা
জলের মতো সুখরেখা
সবুজ ধরনের এক পরগাছা।
জীবনের স্পেস চেয়েছিলে —
পৃথিবীর মিহি ঘাসে ছুঁতে চাও বসন্ত!
মহুয়ার মাদকতায় লজ্জার সে চোখ
উল্লাস ভরা মাদল গভীর অনন্ত!
আজও পারো নি
এক চিলতে একান্ত সময় দিতে এক বিকেলে
রঞ্জন তুমি!
জোড়া শালিক হয়ে উড়ে উড়ে চলে যেতে
যেখানে কেবল নৈসর্গিক পৃথিবী!