অভিসন্ধির আড়ালে..!
-রীণা চ্যাটার্জী
সুধী,
‘বরণ আর পুর্তি’ এর মাঝেই আরো একটা বছর সমাপ্তির দোরে। ২০২০ ভীষণ ভাবে নাড়া দিয়ে গেল চেতনায়। নতুন কয়েকটি শব্দ জীবনের অস্তিত্বের মাঝে স্থান জুড়ে নিয়েছে- যার সাথে পরিচয় ও পরিচিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন। সঙ্কটের আর এক নাম ২০২০- সহ্যের সীমানা পেরিয়ে চোখ রাঙানি প্রকৃতির। প্রকৃতির রোষানলে বিশ্ব জুড়ে একটাই শব্দ বড়ো প্রিয় সবার মনে- ‘রক্ষ মাম.. রক্ষ মাম..’ আরো একবার যেন মন্থন হলো বিশ্ব জুড়ে। হলাহল শুধু হলাহল সারাটা বছর জুড়ে, অমৃতের সন্ধান চলছে। অমৃত কলস (ভ্যাকসিন) হয়তো উঠেও আসছে ধীরে ধীরে। তবে এবারেও মন্থন শেষের অভিসন্ধি মেঘের আড়ালে। কিভাবে কার পাতে পড়বে.. সবটাই গুরুবর্গের অভিসন্ধির খেলা।
একটি গ্ৰাম্যগল্পের উপসংহার- “ও ঠাওরমশাই আগে বলতি হয় তো..ছেরাদ্দ এদ্দুর গড়াবে জানলি আর এট্রু বেশি নিইক্যে রাখতুম..” সেও এক ভাগাভাগির গল্প। শাশুড়ি মা’র মুখে শোনা। গল্পটা অন্য একদিন- আপাতত বর্তমানে অমৃত বন্টন অভিসন্ধির শ্রাদ্ধ কতোদূর গড়াবে জানা নেই, তাই না নিকনোর আপশোষ মনে রেখেও লাভ নেই। অপেক্ষা থাকুক সবার পাতে পড়বে অমৃত। আরো একবার ত্রাসমুক্ত পৃথিবী দেখবো আমরা হাতে হাত দিয়ে- স্পর্শ বাঁচিয়ে নয়, বেড়াজাল ভেঙে স্পর্শের সম্পূর্ণ উষ্ণতা নিয়ে বাঁচবো আমরা।
যাঁরা নিরলস সেবা দিয়ে গেলেন আমাদের এই অতি সঙ্কট সময়ে তাঁদের জন্য অন্তহীন কৃতজ্ঞতা।
হেমন্তের হাত ধরেই শীতের হিমেল শুভেচ্ছা ও নববর্ষের আগাম শুভকামনা আলাপী মনের পক্ষ থেকে সবার জন্য।
বিশে বিষ মিশে যাক , খুশিতে মেতে যাক একুশ