ইন্দীবর
-অমল দাস
১
একদিন পোড়া মাটি, চড়া রোদ,
ছেঁড়া কবিতা ফেরী করতে যাবো-
তোমার বাড়ি। তোমার গলি, তোমার উঠোন,
তোমার আঙিনায় ছড়িয়ে দেবো
আমার নশ্বর দেহের ছাই।
২
তুমি কলকল-ছল বইতে থেকো, বইতেই থেকো-
ভেঙে যাক পাড়, ডুবে যাক ঘর
ভেসে যাক মরা মানুষের দেহ…
তোমার তো আর শ্রাবণ আসে না..
শ্রাবণ শুধু আমারই অহংকার।
ছেঁড়া কবিতার নৌকা করে ভাসিয়ে দিও
আমার উপসর্গ উপরোগ।
৩
আমি অশোধিত তরল জ্বালানী ঢেলেছি
ক্কাথহীন শব্দ-বর্ণের বৃন্ত ক্ষুন্ন পাতায়
পুড়ে যাক, তারপর ধোঁয়া, তারপর-
গ্যাস পিণ্ড, তারপর স্বেচ্ছা মৃত্যুর তারা..
একদিন মৃত আলো নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বো
পৃথিবীর তোমার ওপর।
৪
আমি তোমার নয়, আমার বুকেই ক্ষত করেছি কত..
কত বীজ পুঁতেছি –অঙ্কুরহীন জীবন।
ঊষার আলোর বিন্দু ঢেলে তাকাও এই গর্তে
শ্রবণের অতিশাব্দিক তরঙ্গে ভেসে আসবে
জল-পাতাল-জল…
৫
রক্ত শুধু রক্ত- লাল আর লাল
হার-খুলি-কঙ্কাল ভেঙে এগিয়ে যাই আমি
তুমি মরীচিকার মত হারিয়ে যাও মরুর বালি-পেটে
আমি তোমার শরীর ছুঁয়ে নীল হতে চাই পৃথিবী,
নীল…