রঙের ফেরা
– অযান্ত্রিক
ভোর কুয়াশার আড়ালে থেকে,
বছর বাইশের অল্প রোজগেরে ছেলেটা,
খবর কাগজ বিলির ছুতোয় দেখতে আসে,
বারান্দায় শুকোতে দেয়া মেয়েটার লাল ওড়না,
ও কি বিপ্লব ভালোবাসে নাকি উদ্দাম প্রেম!
রক্তক্ষয়ী বিপ্লব কি কোনো প্রেমের গল্প নয়?
দিনের বয়স বাড়লে, দলে দলে মাথা ছুটে যায় বাসায়,
কালো ব্যাগ, খালি টিফিন বাক্স, বনগাঁ লোকাল, ভিড়,
অথবা, পাখসাটে পালকের গান পাখিদের কিচিরমিচির,
সব ওই চিতায় ওঠা সূর্যের লাল রঙের নিদাঘি ঘোষণা,
এওকি নেহাতই ফেরার কথা, নাকি লাল রংপ্রিয়তা?
সারাদিনের বাহারি রঙের মিশেলে, চাল আটা কিনে,
বাসায় ফেরা প্রতিটি মানুষ কি রঙের কাছে ফেরা নয়,
জানি এখনো রাত গভীর হলে, নিশাচর জীব,
ঘুরে বেড়ায় পাড়ায় পাড়ায়, কাঁধে বন্দুক, মুখে
গামছার পর্দা, লাল, লাল রক্তের রঙে, জানে,
মুহূর্তের পট বদলে অলি গলি থেকে রাজপথে,
লুটিয়ে পড়বে মাংসল শরীর, পরিচয় হীন দাবী হীন,
সঙ্গী থেকে যাবে, গামছা আর তার লালচে আভা,
ঘুমিয়ে পড়া চাদরের খুঁটে বেঁধে নিয়ে, চাহিদার ফর্দ,
ফিরে আসছি মনের নিশুতি পাড়ায়, একা একা।
এইতো পেরিয়ে এলাম নাটার চায়ের দোকান, শুনশান,
আরেকটু এগোলেই বিধুদার মুদিখানা, এখন ঘুমন্ত,
সকালে জাগবে, দৈনিক সরবরাহ দেহ ফিরে পাবে।
হঠাৎ শিরশিরানী বাতাসের ভরে ভেসে আসে স্বর,
“ওহে চরণ একখানা বিড়ি আর একটু আগুন হবে?”
তোমরা শুনতে পাচ্ছো না? আমি কিন্তু শুনতে পাচ্ছি
“কমরেড”