হলদে চিঠি
– শম্পা সাহা
যখন হঠাৎ বলেছিলে
“আমি আর সম্পর্কে আগ্ৰহী নই”,
কারণ না দেখিয়ে সামনের পথটা তোমার প্রিয় মনে হলো
আমার চেয়েও অনেক অনেক বেশি প্রিয়
হয়তো ভেবেছিলে চিৎকার করে কাঁদবো
হয়তো ভেবেছিলে দয়া ভিক্ষা চাইবো
হয়তো ভেবেছিলে বলবো,
“প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাস না”,
হয়তো আমাকে ঠিক ছাড়তেও চাওনি
শুধু বাজিয়ে দেখে নিতে চেয়েছিলে
আমার সমর্পণ কতোখানি পূর্ণ শতাংশ
হয়তো এটাও জানতে চেয়েছো
আমাকে বাদ দিয়ে আমি ঠিক কতোখানি
কতোখানি শুধু তোমার ইচ্ছে কেই নিজের ইচ্ছে মানি
হয়তো চেয়েছিলে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়বো
অথবা ঠোঁটে মাখবো ইঁদুর মারা বিষ
নিদেন তোমার মা দাদার কাছে দরবার করবো
তুলে ধরবো আমার অসহায়তা
কাঁদবো মাথা কুটবো তোমার মনের দরজায়
প্রেম ভিক্ষা চাইবো
অসহায় ভিখিরীর মত চাইনি তো
চাইতে পারিনি কোনো দয়া কোনো কৃপা
মনে করাইনি কোনো বিগত চুম্বন
অথবা কাটানো হাতে হাত, ঠোঁটে ঠোঁট
কোনো অতীত সংবাদ
শুধু দেখলাম তুমি চলে গেলে
বিপুল পৌরুষ বজায় রেখে
অথবা অহংকার
পিছু ফিরে ডাকিনি তো আর
জানি এক যুগের ভালোবাসা মুহুর্তে বেরঙীন যবে
সে প্রেম ফেরাতে পেরেছে কোনো প্রেম হারা প্রেমিক কে কবে?
যবে সব ছোঁয়া বিগত অতীত
সব ভালোবাসা প্রেম বাসন্তী বিকেল
মুহুর্তে মিথ্যে হয়ে যায়
সে প্রেম চাইনি তো কোনোদিন
তোমার চলে যাওয়া আজও রোজ দেখি
সেই এক মোড়ে দাঁড়িয়েই
জানি ফিরবে না কোনোদিনও আর
তবুও আমি হারিনি তাও জানি
সব কাহিনী উপসংহারে হয় না তো শেষ
বেশ তবে তাই হোক
মিথ্যা প্রেমের বোঝা বওয়ার চেয়ে এই ভালো
সব তুলসী তলায় জানি সন্ধ্যায় জ্বলে না তো আলো
কিছু অন্ধকার না হয় হোক আলোর সমান
কিছু প্রেমের হলদে হয়ে আসা চিঠির ফাঁকেই হোক স্থান।